স্পেনের বারসেলোনা। সেখানকার রাভাল এলাকার খোলা রাজপথ। তার পাশে একটি পাবলিক টয়লেট। অকস্মাৎ তার ভিতর থেকে বেরিয়ে এলেন পুরোপুরি নগ্ন এক নারী। তার শরীরের সঙ্গে সুতা বলতে কিছুই নেই। তিনি অবলীলায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে লাগলেন। কোন লাজলজ্জা বলতে কিছুই নেই যেন। কিছুক্ষণ পরে ওই একই টয়লেট থেকে শার্টহীন এক পুরুষ বেরিয়ে এলেন।তিনি ওই নগ্ন নারীর কাছে গিয়ে তাকে কিছু বলেন। তার কথা প্রত্যাখ্যান করার পর তিনি ওই নারীকে টয়লেটে ফিরে যেতে বলেন। তাও শোনেন না ওই নারী। এ সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে টয়লেটে নেয়ার চেষ্টা করেন ওই পুরুষটি। তাতেও গায়ের শক্তি ব্যবহার করে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে তিনি হেরে যান। তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে টয়লেটে নিয়ে যান ওই পুরুষ। টয়লেটের ভিতরে ওই নারীকে ঢুকিয়ে দিয়ে তিনি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। নিজে দরজায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, যাতে ভিতর থেকে বেরুতে না পারেন ওই নারী। এ ঘটনাটির ভিডিও সহ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমা মিডিয়ায়। বিশেষ করে বৃটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো তো একে প্রাধান্য দিয়ে প্রচার করেছে। তবে ওই নারী বা পুরুষটির কোনো পরিচয় দেয়া হয় নি। স্থানীয় একজন ব্যক্তি বলেছেন, যে নারী ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি এলাকায় সুপরিচিত। তার মানসিক সমস্যা আছে। তবে সর্বশেষ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এর আগে বারসেলোনার রামব্লাস এলাকার একটি ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। সেই ভিডিওতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক হারে পতিতাদের বিচরণ করতে দেখা গিয়েছিল। তাতেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ ছাড়া যখন বাচ্চাদের একটি খেলার মাঠে একদল নারী লড়াই করছিলেন তখন তাদের একজন অন্যজনকে বেজবল ব্যাট দিয়ে প্রহার করছিলেন। আসলে এরা ছিলেন মাদক পাচারকারী। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লোকাল রেসিডেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইভান রিভেরা। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলো রাভাল এলাকায় এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে এসব। গত ২০ বছরে বার্সেলোনায় অনেক উন্নতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাভাল রয়ে গেছে দৃষ্টির আড়ালে।