গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ার কারণে রংপুরে পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

ভারতের উজানে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়ার কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের তিনটি ইউনিয়নের পনেরটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গঙ্গাচড়া পয়েন্টে বিপদসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, কচুয়া, চড় ইছলি, জয়রাম ওঝা, কোলকোন্দ ইউনিয়নের কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারীসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। কাউনিয়া পয়েন্টে যেকোনও সময় বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এদিকে আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।রহিমা নামের পানিবন্দি এক নারী বলেন- ‘এতো কষ্ট করে সংসার করি, সেই সংসার আমার ভাসি যাইবার লাগছে। খাওয়া নাই, নাওয়া নেই, পানিতে দাঁড়াইয়া আছি বাচ্ছা কাচ্ছা নিয়ে। গরু, ছাগল সব আমার ভাসি গেছে।’আব্বাস নামের একজন জানান, মানুষের যেমন তেমন, গবাদি পশুগুলো নিয়েই বেশি সমস্যা। গরু-ছাগল পানির মধ্যে দাঁড়াইয়া আছে।সালেমা নামের একজন জানান, হঠাৎ পানির কারণে খুবই সমস্যায় পড়েছি। বাথরুমে যাওয়া যাচ্ছে না। নিজের বাড়িতে রান্নার ব্যবস্থা নেই। তাই অন্যের বাড়ির খাবার খেয়েই থাকতে হচ্ছে।আবদুল্লাহ নামের একজন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাড়িতে পানি এসে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক সাহায্য দেয়। আমাদের গঙ্গাচড়াতে কি একমুঠো সাহায্য দেয়ার কোনও লোক নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *