পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাযারি ইয়েমেনের জনগণের বিরুদ্ধে সৌদি অপরাধযজ্ঞের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব নারী ও শিশুসহ ইয়েমেনের নিরপরাধ মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বহুবার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। খবর পার্সটুডের।
সম্প্রতি ইয়েমেনের একটি বাসে সৌদি আরবের বিমান হামলায় বহু শিশু নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের এ মন্ত্রী দেশটিতে আগ্রাসন বন্ধের জন্য রিয়াদের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি পাশ্চাত্য বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সংকট নিরসনের জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের কোনও শীর্ষ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ইয়েমেনে সৌদি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানানো এবং একে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘটনা এটাই প্রথম। এ থেকে বোঝা যায়, ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের নতুন প্রশাসন ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে। একইসঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করারও চেষ্টা করছে পাকিস্তান সরকার।
এদিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেদেশের নতুন সরকার রিয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আশার সঞ্চার হয়েছে। মালয়েশিয়ার পর পাকিস্তান সরকারও যদি ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়, তাহলে নিঃসন্দেহে ইয়েমেন যুদ্ধের ব্যাপারে রিয়াদ একা হয়ে পড়বে।
এর আগে নওয়াজ শরীফ সরকার ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি সহযোগিতা না করলেও তৎকালীন সেনাপ্রধান রাহিল শরীফ সামরিক প্রশিক্ষণের কথা বলে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখেছিলেন।