দীর্ঘ ৫ দশক পর আবারও নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে বাংলাদেশ থেকে হিমালয়ের পাদদেশের ভারতীয় শহর দার্জিলিংয়ের পথে সরাসরি ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ভুটান-নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। নতুন করে ওই রেলপথটি চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ নিয়ে একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে আগেই শোনা গিয়েছিল। এবার সে প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপিত হতে পারে।
একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের দার্জিলিংয়ের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার ব্রডগেজের রেলপথ নির্মিত হবে। যার জন্য বাংলাদেশের চিলাহাটি এবং হলদিবাড়ি সীমান্তের মধ্যে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের পরিত্যক্ত বিভিন্ন রেলসংযোগ পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে এ প্রকল্পটি শেষ করতে চায় সরকার।
ভারত ভাগের আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি করিডোর দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলতো। সেসময় দার্জিলিং মেইল ট্রেন হলদিবাড়ি-চিলাহাটি-সৈয়দপুর-দর্শনা হয়ে শিলিগুড়ি ও কলকাতার মধ্যে চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর রেলপথ সংযোগটি বন্ধ হয়ে যায়।
পাক-ভারত যুদ্ধের পর বিলুপ্ত চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রানজিট পয়েন্টে নতুন করে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট প্রতিষ্ঠা হলে শিলিগুড়ি হয়ে চিলাহাটি ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে সরাসরি ট্রেন চলাচল আবার শুরু হবে।