এবারের ১৪তম এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার লিটন দাস। এটি এশিয়া কাপের ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে মাত্র দুইজন ক্রিকেটার এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। দু’জনেই শ্রীলঙ্কার। তারা হলেন, সনাথ জয়সুরিয়া ও আতাপাত্তু। এরমধ্যে ২০০০ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আতাপাত্তু। পাকিস্তানের বিপক্ষে আতাপাত্তু সমান ১০০ রান করে সেঞ্চুরি পেলেও দলের পরাজয়ে তা বিফলে যায়। পরবর্তিতে ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সনাথ জয়সুরিয়া খেলেন ১২৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
সনাথ জয়সুরিয়ার করা সেঞ্চুরির ১০ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনাল দেখলো নতুন সেঞ্চুরিয়ান।বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ভারতীয় বোলিং তুলোধুনো করে নিজের নাম লেখালেন জয়সুরিয়া-আতাপাত্তুর পাশে। ৯২ বলে লিটনের ব্যাট থেকে আসে এই সেঞ্চুরি।
এ ছাড়া এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন দাস পেলেন এই সেঞ্চুরি। দুই ছক্কা, ১১ চার, ৮ ডাবলস আর ২৯টি সিঙ্গেলসে এই সেঞ্চুরি আদায় করেন লিটন দাস। ১১৭ বলে ১২১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।
লিটন দাসের আগে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল, মুশফিকুর রহীম ও আনামুল হক। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ওই বছরের ২৪শে জুন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহীম। ওই বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে মুশফিক খেলেন ১১৭ রানের এক অনুপম ইনিংস। এর মাত্র ছয়দিন পর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি হাঁকান আনামুল হক। ৪ঠা মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে আনামুল হক করেন সমান ১০০ রান।
তবে, এশিয়া কাপে সেঞ্চুরির হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম। তিনি এবারের এশিয়া কাপেও সেঞ্চুরি করেছেন। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন তিনি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে দুই সেঞ্চুরি এবং ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের দখল দু’টোই মুশফিকুর রহীমের।