এশিয়া কাপের ফাইনালের আগেই নিজের পছন্দের সেরা একাদশ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হর্ষ ভোগলে। বাংলাদেশ দল থেকে মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজ দেশ ভারতের ছয়জন রাখলেও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে একাদশের বাইরে রাখেন ভোগলে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ধোনির পরিবর্তে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ পান মুশফিক। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন তিনি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে চাপের মুখে ৯৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। এই ম্যাচেই পাকিস্তানের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ।ফাইনালের আগ পর্যন্ত চার ম্যাচে ৭৪.২৫ গড়ে ২৯৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিক। আর চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেটগ্রাহক মোস্তাফিজ। ভোগলের একাদশের বাকি তিনজন আফগানিস্তানের রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী এবং পাকিস্তান তারকা শোয়েব মালিক। ওপেনিংয়ে দারুণ ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান জুটি। চার ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরির সাহায্যে ৩২৭ রান করেন ধাওয়ান। দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে রোহিতের নামের পাশে ২৬৯ রান। আম্বাতি রাইডুকে ওয়ানডাউনে রাখেন ভোগলে। চারে মুশফিক ও পাঁচ নম্বরে মালিক। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে সুযোগ পান নবী ও রবীন্দ্র জাদেজা। পেস বোলিংয়ে মোস্তাফিজের সঙ্গী ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ। আর বিশেষজ্ঞ স্পিনার রশিদ। একাদশ নিয়ে ভোগলে বলেন, ‘যদি আপনি পাঁচজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেন এখান থেকে চারজন চলে আসবে। পাঁচজন বা চারজন বোলার চাইলে অন্তত তিনজন নিতে পারেন। এই টুর্নামেন্টে অলরাউন্ডার খুঁজে পাওয়া কঠিন।’ তিন ম্যাচে ব্যাট করে ৪১ রান করা ধোনি প্রসঙ্গে ভোগলে বলেন, ‘প্রথমেই ধোনির নাম বলতে হবে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে ভারতের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে সে বেশি কিছু করতে পারেনি।’
ভোগলের সেরা একাদশ: শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, আম্বাতি রাইডু, মুশফিকুর রহীম, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবী, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, রশিদ খান ও মোস্তাফিজুর রহমান।