বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ (রোববার) বেলা ২টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে সকাল ১০টা থেকেই নেতাকর্মীরা উদ্যানে আসা শুরু করেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সভামঞ্চে দেশাত্মবোধক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বেলা ২টার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল যেন জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
জনসভা শুরুর পর স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান। জনসভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বানানো ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট মাপের মঞ্চের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে লেখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম। মঞ্চে তার জন্য একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, “আমাদের নেত্রীকে সম্মান দেখানোর জন্য, তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন, নেতাকর্মীদের হৃদয়েই আছেন- সেটা বোঝাতেই আমরা প্রধান অতিথি হিসেবে তার নাম রেখেছি।”
মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কাউন্সিলসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন এ কর্মসূচিতে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ শনিবার ২২টি শর্তে বিএনপিকে এই জনসভা করার অনুমতি দেয়। পুলিশের বেঁধে দেওয়া শর্তে বিকাল ৫টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে বলা হয়েছে বিএনপিকে।
বিএনপির আজকের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। নজরদারি করছে গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। মূলত যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে জনসভা ঘিরে বিশেষ নিরপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।#