সৌদি আরবকে চায়না পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোরে (সিপিইসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেয়ার কথা ভাবছে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সরকারের এমন উদ্যোগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া রিয়াদকে রেকো ডিক খনিতে বড় একটি শেয়ার দেয়ার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান সরকার। এমন উদ্যোগেরও সমালোচনা করেছেন সিনেটররা। তারা বলেছেন, এ দুটি খাতেই পাকিস্তান পুরোপুরিভাবে ছটিকে পড়বে। অর্থাৎ পাকিস্তানের নিজস্বতা বলতে কিছু থাকবে না এ দুটি প্রকল্পে। সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পাকিস্তান পৌঁছেছেন।তার অল্প পরেই এমন বিবৃতি দেয়া হয়েছে সিনেট থেকে। সোমবার সিনেট অধিবেশনে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক সিনেট চেয়ারম্যান রাজা রাব্বানি বলেন, এসব ইস্যুতে অনেক প্রশ্ন আছে। যার উত্তর খোঁজা প্রয়োজন। তার বক্তব্যের সময় সিনেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর। তার প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাজা রাব্বানি বলেন, সিপিইসিকে এভাবে হালকা করে দেয়ায় জনগণের কাছে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে। সিপিইসি’র মতো একটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে পার্লামেন্টকে আস্থায় না নিয়ে বা পার্লামেন্টে আলোচনা না করে কিভাবে সৌদি আরবকে তৃতীয় অংশীদার বানানো হচ্ছে তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। রাজা রাব্বানি প্রশ্ন রাখেন, এ বিষয়ে কি চীনের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে? কেন এ ক্ষেত্রে পার্লামেন্টকে একপেশে করে রাখা হয়েছে?
এ সময় পার্লামেন্টে অর্থমন্ত্রীর অব্যাহত অনুপস্থিতিরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও তার মন্ত্রীরা পার্লামেন্টে উচ্চ কক্ষকে অবজ্ঞা করে চলছে। আমরা শুনেছি অর্থমন্ত্রী অধিবেশনে যোগ দেবেন না। গত কয়েকদিন ধরে আমরা শুনে আসছি যে, অর্থমন্ত্রী অধিবেশনে আসবেন না।