বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের শরণখোলা অংশের ১৪ কিলোমিটার পথ যেন এখন মরণ ফাঁদ। সাইনবোর্ড থেকে বগী পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়কের এই অংশটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তাই সড়কটি দ্রুত প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

তবে বাগেরহাট সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কটি মাত্র একমাস আগে জেলা সড়ক থেকে সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী আর-৭৭৩ আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে গেজেটভূক্ত হয়েছে। সরু এলাকা প্রশস্ত করার প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে।

জানা গেছে, জেলা সদর বাগেরহাটের সাথে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ এই দুই উপজেলার যোগাযোগের প্রধান এ সড়কটি চার বছর আগে কিছু অংশ ১৮ফুট আবার কিছু অংশ ২৫ ফুট প্রসস্ত করে নির্মাণের পর আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ওই সময় শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া কাঠেরপুল থেকে তাফালবাড়ি পর্যন্ত ১৪কিলোমিটার সড়ক মাত্র ১২ ফুট হিসেবে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দ ও দুই ভেঙে গ্রামীণ সড়কে পরিণত হয়েছে।

শরণখোলা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বেনাপোল, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলা করে থাকে। এসব যানবাহন সরু এ সড়কে এসে পড়ে ঝুঁকির মুখে। দু’দিক থেকে আসা যানবাহন একটি আরেকটিকে পাশ কাটাতে বা অতিক্রম করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ অংশে যানবাহনগুলো পাশ কাটাতে গিয়ে সড়কের বাইরে নামতে হয়। ফলে সড়কটির দুই পাশ ভেঙে আরো সুরু হয়ে গেছে।

যাত্রীবাহী মেঘনা পরিবহনের চালক মো. আ সালাম, পর্যটক পরিবহনের চালক মো. জাকির হোসেন ও ফাল্গুনী পরিবহনের চালক মো. মারুফ জানান, দিনে ও গভীররাতে তাদের পরিবহনগুলো এই রুটে চলাচল করে থাকে। সড়কের বাইরে চাকা নামিয়ে পাশ কাটাতে গিয়ে গাড়ি ফেঁসে যায়। তখন অন্যান্য যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে তাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাদের।

শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-মোংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. শামীম আহসান পলাশ বলেন, সরু অংশ দিয়ে যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দ্রুত সড়কটি প্রশস্ত না হলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি একমাস হলো গেজেটভূক্ত হয়ে জেলা সড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত হয়েছে। তাই এখানে এখন আর ছোট কোনো প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ নেই। আর মেগা প্রকল্প গ্রহণ করতে একটু সময় লাগে। সরু এ অংশ প্রসস্তকরণের জন্য প্রকল্প তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। শেষ হলে শিগগিরই তার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

তিনি আরো বলেন, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ অংশে দুটি বেইলি ব্রিজের উপরের স্টিলের প্লেট নষ্ট হয়ে গেছে। ৮ অক্টোবর থেকে এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।