পাকিস্তানে ৮০০ কোটি ডলারের একটি তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে চায় সৌদি আরব। এ নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দেয়ার পর একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা। এ ছাড়া পাতিমবদাসের অন্যান্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। এ ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অনলাইন ডন এ খবর দিয়েছে। পাকিস্তানের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার খান এসব তথ্য জানিয়েছেন মিডিয়াকে। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ও সৌদি আরব পাকিস্তানের গোধারে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনে সম্মত হয়েছে।এ বিষয়ে যে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে সে জন্য সৌদি আরবের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এ মাসের শেষের দিকে ইসলামাবাদ সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে পাকিস্তান সফরে রয়েছেন সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল। তাদেরকে ২০০ কোটি ডলারের নর্থ-সাউথ গ্যাস পাইপলাইনে অংশ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে জ্বালানি তেল উত্তোলনের যে ১০টি ব্লক আছে সে বিষয়ে নিলাম ডাকা হবে শিগগিরই। তাতেও অংশ নিতে তাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে অশোধিত তেল সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে সৌদি আরবকে। সৌদি আরবের জ্বালানি উপদেষ্টা আহমাদ হামিদ আল ঘামিদির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব কথা বলেন পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে সৌদি আরবকে অত্যন্ত সম্মান দেখানো হয়। দু’দেশের মধ্যে দৃঢ় ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক বিদ্যমান। সৌদি আরব যে তেল শোধনাগারে বিনিয়োগে রাজি হয়েছে সেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল তেল শোধন করা যাবে। এসব অগ্রগতির বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে চীনকে অবহিত করেছে পাকিস্তান। সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং বুধবার সাক্ষাত করেছেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মাখদুম খুসরু বখতিয়ারের সঙ্গে। তিনি সিপিইসিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তি। তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, সৌদি আরব যে তেল শোধনাগারে বিনিয়োগে রাজি হয়েছে তা হবে পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সৌদি আরবের যতটুকু লাভ হবে তার চেয়ে পাকিস্তানের লাভ হবে বেশি। ইসলামাবাদ বর্তমানে বছরে ১৮০০ কোটি ডলারের তেল আমদানি করে। এই স্থাপনাটি সম্পন্ন হলে সেই খরচ অনেক কমে আসবে।