ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার পর যে কজন নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন সংগীতশিল্পী হিসেবে তাদের মধ্যে সানিয়া সুলতানা লিজা অন্যতম। এ প্রতিযোগিতার পর থেকেই গানের জগতে নিয়মিত তিনি। অডিও এবং সিনেমার গানেও ব্যস্ত সময় পার করছেন লিজা। শুধু তাই নয়, অডিওর পাশাপাশি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতেও তার পারফরমেন্স প্রশংসিত হয়েছে। এর বাইরে দেশ বিদেশের স্টেজ শোতেও লিজা হরহামেশাই ব্যস্ত থাকেন। স্টেজ, নতুন গান নিয়ে এরই মধ্যে টানা ব্যস্ততা যাচ্ছে তার। দেশের বিভিন্ন স্থানেও স্টেজ শো করছেন এ শিল্পী। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? লিজা বলেন, খুব ভালো।তবে বেশ ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এখনকার ব্যস্ততা মূলত কি নিয়ে? লিজা বলেন, শো নিয়ে তুমুল ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। শীত মৌসুম আসার আগেই এবার শো এর ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। টানা শো করছি দেশের বিভিন্ন স্থানে। শো এর ব্যস্ততা সারা বছরই থাকে। তবে শীতের মৌসুমে ব্যস্ততাটা বেড়ে যায়। তবে এবার আগেভাগেই শো আয়োজনটা বেড়ে গেছে। কদিন আগেই তো দুটি গান পর পর প্রকাশ হয়েছে। সেগুলোর সাড়া কেমন মিলেছে? লিজা বলেন, ‘ভালোবাসি বলা হয়ে যাক’ এবং ‘আসমানি’ শীর্ষক দুটি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভালো সাড়া পেয়েছি এ গানগুলো থেকে। বিশেষ করে অডিও এবং ভিডিও দুটোরই প্রশংসা করেছেন সবাই। তাছাড়া আমার পারফরমেন্সেরও প্রশংসা পেয়েছি। তাই উৎসাহটাও বেড়ে গেছে। নতুন গান নিয়ে পরিকল্পনা কি? লিজা উত্তরে আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, নতুন কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শো এর ব্যস্ততার কারণে বিষয়গুলো সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। আবার কদিন আগে আমি ছুটি কাটিয়ে এসেছি আমেরিকা থেকে। তবে এরইমধ্যে নতুন একটি গান করেছি। এখন তার ভিডিও নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার বিশ্বাস ভালো একটা কিছু হতে যাচ্ছে। এ গানটির বাইরে আরও কয়েকটি গানের কাজ চলছে। সেগুলোও নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিও আকারে প্রকাশ করবো। প্লেব্যাক কি করা হচ্ছে? লিজা বলেন, সর্বশেষ ‘শশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ ছবিতে গেয়েছি। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত এ ছবিতে একটি দ্বৈত গান গেয়েছি। আমার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন ইমরান। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ইমন সাহা দাদা। চমৎকার একটি কাজ হয়েছে। আর চলতি বছর ‘গহিন বালুচর’ ছবিতে ইমন সাহার সুরেই ‘তারে দেখি আমি রোদ্দুরে’ গানটি প্রকাশ হয়েছে আমার। এ গানটির সাড়া অনেক ভালো পেয়েছি। আরও বেশ কিছু ছবিতে গাওয়ার কথা রয়েছে সামনে। এই সময়ে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? লিজা উত্তরে বলেন, আমার মনে হয় একদম খারাপও না। আবার খুব ভালোও না। মোটামুটিভাবে চলছে। তবে শিল্পীদের জন্য ইতিবাচক বিষয় হলো এবার খুব ভালো শো-এর আয়োজন হচ্ছে। আর নতুন গানে এখন অনেক কোম্পানিই বিনিয়োগ করছে। অনেকে ব্যাক্তিগতভাবেই ইউটিউবে গান প্রকাশ করতে পারছে। এখনতো ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গানের স্বত্ব নিজের কাছে রেখে গান করা যাচ্ছে। গান প্রকাশ ও শোনাটাও সহজ হয়ে গেছে। ইউটিউবে গান সব থেকে বেশি শুনছেন ও দেখছেন শ্রোতারা। আমার মনে হয় এই ডিজিটালি গান প্রকাশে এখন আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি। যখন পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে যাবো তখন সুফলটা হয়তো আমরা পাবো। সেই প্রত্যাশাই করি। গানে পারিবারিক সাপোর্টটা কেমন? লিজা বলেন, পরিবারের সাপোর্ট শতভাগ পেয়ে আসছি আমি। এটা খুব বড় একটি বিষয়। কারণ পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে বেশি দূর এগুনো সম্ভব না অথবা বিষয়টি কঠিন হয়ে দাড়ায়। সেক্ষেত্রে আমি এদিক থেকে লাকি।