বাংলাদেশ রেলওয়ে খাত সম্ভাবনাময়। কিন্তু বর্তমানে এ খাত ইঞ্জিন সংকটে ভুগছে। প্রায় ৭১ শতাংশ ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে। তারপরেও আমাদের মেরামত করে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে হচ্ছে। বললেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।বুধবার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকায় ৭০টি রেল ইঞ্জিন কেনার চুক্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।এই রেল কিনতে কোরিয়ার নির্মাণকারী সংস্থা হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। রেলভবনে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং হুন্দাই রোটেমের (পরিচালক গ্লোবাল) কোয়াং কুন ইউন নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে সই করেন।রেলমন্ত্রী বলেন, হুন্দাই রোটেম থেকে ইঞ্জিন পাওয়া শুরু হলে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এ খাত থেকে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, চুক্তি অনুযায়ী ১৮ থেকে ৬০ মাসের মধ্যে সব ইঞ্জিন বাংলাদেশ আসবে। টেন্ডারার্স ফাইনান্সের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এগুলো কেনা হচ্ছে।এজন্য খরচ পড়ছে একহাজার ৯৮৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৮ টাকা।বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৭৮টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৯টির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল (২০ বছর হিসাবে) শেষ হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এসব ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ইঞ্জিন পাওয়া খুবই দরকার বলে জানান সচিব।