পোস্তগোলায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১ এর টোল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ এখনও দফায় দফায় চলছে। এতে পুলিশ কয়েক দফা রাবার বুলেট ও গুলি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় সোহেল (২৮) নামের একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। অর্ধশতাধিক পুলিশ ও শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বহু শ্রমিককে পুলিশ আটকও করেছে।
সংঘর্ষস্থল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজনকে কাছের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।পরে পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে যায়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান আরটিভি অনলাইনকে একজন শ্রমিক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল থেকে পুরো এলাকা জুড়ে ট্রাক শ্রমিক ও টোল আদায়কারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ আত্নরক্ষার্থে ব্যবস্থা নেয়। তবে শ্রমিক কিভাবে নিহত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। খোঁজ-খবর নিতে হবে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে পোস্তগোলা ব্রিজ ঘিরে উভয় পাশের যানচলাচল। ব্রিজের দুই পাশেই তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
জানা যায়, এ ব্রিজে আগে ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। গেল ২২ অক্টোবর সেই টোল বাড়িয়ে করা হয় ২৪০ টাকা। টোল বাড়ানো নিয়ে শুক্রবার সকাল আটটায় টোল প্লাজায় কর্মরতদের সঙ্গে ট্রাক শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ এ সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে।
শ্রমিকরা দাবি করেন, হঠাৎ করে এত বেশি টোল বাড়ানোয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা অবিলম্বে এ টোল কমানোর দাবি জানান।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিঞার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে পোস্তাগলার ঘটনায় কোনও হতাহত ব্যাক্তিকে আনা হয়নি।