মেকআপ বা সাজগোজ শুধু সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে এমনটি নয়, এটা মনকে সন্তুষ্ট করে। তবে মেকআপ মানেই যে সারাদিন আয়নার সামনে বসে থাকতে হবে তা নয়। অলসতা কিংবা ব্যস্ততার মাঝে মেকআপের জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
উজ্জ্বল ত্বক পেতে নারীরা অনেক চেষ্টা করে থাকেন। অনেকে আবার অলসতার কারণে ত্বকের যত্ন নিতে চায় না। তবুও তারা নরম, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক আশা করে। বিভিন্ন ধরণের আবহাওয়ার ফলে অনেক সময় মেকআপ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু রূপরুটিন মেনে চললে অলসতার ফাঁকে ফাঁকে নেয়া যাবে ত্বকের যত্ন। মেকআপ গাইড থাকল লেজি গার্লদের জন্য-
মুখের মেকআপ
প্রথমে মাইল্ড ক্লেনজার দিয়ে মুখ আর গলা পরিষ্কার করে নিন। ত্বক পরিষ্কার না থাকলে যতই মেকআপ করুন না কেন, ভালো লাগবে না। এবার বডি লোশন কিংবা বডি বাটার লাগিয়ে নিন। বেস মেকআপ প্রসাধন পর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রথমে ভালো করে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগান। হালকা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার মসৃণ বেস ফিনিশ তৈরি করতে সাহায্য করে। এর সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে একটু জেল্লাও আনে। না হলে ত্বক খসখসে দেখাবে।
মুখে কোনও দাগ থাকলে কনসিলার ব্যবহার করুন। চোখের তলার কালি ঢাকার জন্যেও কনসিলারের থেকে ভালো অপশন আর কিছু নেই। এরপর ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। ফাউন্ডেশন বাছাই করা বেশ কষ্টের ব্যাপার। ফাউন্ডেশন কেনার সময় মুখে একটু লাগান। হাতেও লাগাতে পারেন। যদি দেখেন আপনার ত্বকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, তা হলে বুঝবেন যে এটাই আপনার জন্যে উপযুক্ত। এগুলো পর পর ফেস মেকআপে ব্যবহার করলে ভালোই হয়, কিন্তু ব্লেন্ড করার ঝামেলায় না যেতে চাইলে বিবি অথবা সিসি ক্রিম লাগাতে পারেন।
মেকআপ হয়ে গেলে একটু ফেস পাউডার পাফ করে নিন। তবে যাই করুন না কেন খেয়াল রাখবেন মেকআপ যেন নোংরা না হয়ে যায়, যথাসম্ভব ন্যাচারাল লুক বজায় রাখাই কাম্য। একটা ব্রাশ দিয়ে গালের বাইরের দিকে ব্রনজার ডাস্ট করে নিন। চিকবোনের তলা থেকে শুরু করুন আর টেম্পল পর্যন্ত ডাস্ট করুন। ঘাড়ে, গলাতেও লাগিয়ে নিন। তবে দিনের চেয়ে রাতে ব্রনজার লাগানোই ভালো।
হাইলাইটার ত্বকের সুন্দর দিকগুলোকে যেমন তুলে ধরে, সেখানে ব্রনজার ত্বকে গ্ল্যামারাস শাইন তৈরি করে। মনে রাখবেন, মেকআপ মানেই কিন্তু অত্যধিক সাজ নয়। হালকা মেকআপেও দারুণ লুক ক্রিয়েট করা যায়।
ঠোঁটের মেকআপ
সারা মুখে বিশেষ মেকআপ না করেও নজর কাড়তে পারেন একটা দারুণ শেডের লিপস্টিক দিয়ে। ঠোঁট রাঙিয়ে নিন ট্রেন্ডি লিপ ক্রেয়নে। কোরাল, পার্পলের মতো উজ্জ্বল রঙে আপনার পুরো লুকটাকেই করে তুলবে গ্ল্যামারাস, যার ফলে বাকি মেকআপ না করলেও চলবে। চোখ বা ঠোঁটের মধ্যে যে কোনো একটা অংশ হাইলাইট করুন। একসঙ্গে দু’টো অংশই হাইলাইট করবেন না। ডিপ স্মোকি আইজ পছন্দ করলে, ঠোঁটে ন্যাচারাল শেডের লিপকালার ব্যবহার করুন। স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ ধরে রাখার জন্যে প্রথমে লিপ বাম লাগিয়ে নিন, তার ওপর ম্যাট লিপস্টিক লাগান। শেষ মুহূর্তে মেকআপের শেড নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলে জেনে রাখুন, ফরসা, গমরঙা বা শ্যামলা- সব ধরনের স্কিন টোনের সঙ্গে ন্যুড লুক ভালো কাজ করে।