গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম খ্যাত নবাগত বলিউড অভিনেতা হিরো আলম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তার অন্যতম কর্মী ও নির্বাচন এলাকার সক্রিয় সমর্থক ডা. রাসেল মাহমুদকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলার কামুল্যা গ্রামের মোত্তালেব হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) জুমআ’র নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়ার আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান ডা. রাসেল মাহমুদ। এনিয়ে বগুড়া-৪ নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় জনতার মাঝে নানা প্রশ্নের সঞ্চালন হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রতিপক্ষদের মদদে হিরো আলমের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় চুরি হলে পুলিশ কাউকে ধরতে পারে না, অথচ হিরো আলমের কর্মীকে গ্রেফতার করে সমালোচনার মুখে পড়েছে থানা পুলিশ। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের ওমরপুর বাজার সহ বিভিন্নস্থানে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও পুলিশ রয়েছে অন্ধকারেই।
জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিপক্ষদের মদদে কিছু সাংবাদিকও যা ইচ্ছে তাই লিখছে। মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে। ডা. রাসেল আমার কাছের কর্মী ও দলীয় সমর্থক। সেটা জেনেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জুমআ’র নামাজ আদায়ের সুযোগ পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। এসব পরিকল্পিত ঘটনা। বড়বড় ডাকাত, চোর, সন্ত্রাসী, খুনিকে চোখের সামনে পেলেও ধরছেনা, কিন্তু হিরো আলমের কর্মী হলেই গ্রেফতার। আমাকে নির্বাচন থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি আর্থিকভাবে দুর্বল হলেও জনগনের ভালোবাসাই আমার বড় শক্তি।
এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, একটি মামলায় অনেক আগে ডা. রাসেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। শুক্রবার দুপুরে এএসআই আকতারুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
তবে হিরো আলমের কর্মী ডা. রাসেল মাহমুদ বলেন, আমাকে যে মামলায় ওয়ারেন্টমুলে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আমার নাম, বয়স, পিতার নাম এবং গ্রামের নাম ভুল রয়েছে। তারপরেও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দিয়েছে থানার এএসআই আকতারুজ্জামান।