আওয়ামী লীগ ভয়াবহ মিথ্যাচার করছে। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আইএসআই-এর বৈঠক ও আমার সঙ্গে পাকিস্তানি কূটনীতিকের বৈঠক হয়েছে বলে যে খবর প্রচার করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। এ ধরনের কোনো বৈঠক কখনও হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।বললেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ফখরুল বলেন, অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। না হলে এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ যে ব্যবস্থা নেওয়ার, সেটি আমরা নেব।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিএনপি কোনো সংস্থা বা দেশের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি, আসতে চায়ও না।তিনি আরও বলেন, সরকার পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। এটা করতে গিয়ে দেশের টাকা খরচ করে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অপপ্রচার করছে।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার হস্তক্ষেপ করছে। সরকার যখন দেখছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর মানুষের আস্থা বেড়ে গেছে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তার নামের কালো আইন করেছে। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করেছে।ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে এ কালো আইনের মাধ্যমে বিএনপির যারা আছেন, তাদের আটক করে দীর্ঘদিন গুম করে পরে তাদের কারাগারে আটকে রেখেছে। এমনকি বাদ যায়নি কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।ফখরুল আরও বলেন, আমাদের ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এত দিন আমরা এগুলো নিয়ে কোনো মামলা করিনি। এখন আমরা এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মামলা করব, দেখি সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, সরকারি দলের তিন শতাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। সেগুলো নিয়ে কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।তিনি বলেন, এ নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়। এ নির্বাচনে প্রমাণ হবে, দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি না, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের গণতন্ত্রের যে চেতনা, সেটি থাকবে কি না। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার পরও তাকে এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। বেআইনিভাবে, অন্যায়ভাবে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যার জন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে।সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবাইকে সমান সুযোগ দিন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিন। না হলে দেশ অনিশ্চয়তা থেকে বের হয়ে আসবে না।