ভয়াবহভাবে পরাজিত হওয়ার মুখে বৃটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তিতে পৌঁঁেছছেন তিনি তা ভোটে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই যে, বৃটিশ পার্লামেন্টের এমপিরা ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করবেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিক্ত সমালোচনা ও পার্লামেন্টে কয়েক দিনের বিতর্কের পর এমনটাই স্পষ্ট হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে তেরেসা মে আজ ভোট স্থগিত করে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতি এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সঙ্গে। তেরেসা মে বলেছেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত পরিকল্পনা নিয়ে তার আরও নিশ্চয়তা প্রয়োজন। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস নিউজ সার্ভিস ও বিবিসি।বহুল কাঙ্খিত ও সমালোচিত ব্রেক্সিট চুক্তি আজ মঙ্গলবার বৃটিশ পার্লামেন্টে ভোটে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত করে তেরেসা মে উড়ে যাচ্ছেন ইউরোপে। এটাকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি সঙ্কটময় বা গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোট স্থগিত করে তিনি সোমবার অনির্ধারিত বক্তব্য রাখেন পার্লামেন্টে। তাতে বলেন, আমরা যদি সামনে এগিয়ে যাই এবং মঙ্গলবার ভোট করি, তাহলে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এই চুক্তিটি পরাজিত হবে। তাই আমরা মঙ্গলবারের ওই ভোট স্থগিত করছি। এই সময়ে আমরা পার্লামেন্টকে বিভক্ত করতে চাই না। তবে তার এমন সিদ্ধান্তে চেতেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, সব আয়োজন একতরফাভাবে সরকার নিতে পারে না। এর আগে তেরেসা মে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।