ভোটের দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি’র কাছে প্রায় হাজার কোটি টাকা চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি’র বাজেট রয়েছে ৭০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা খাতে বাজেট প্রায় ৪০০ কোটি। আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর চাহিদা পূরণ করতে ইসি’র নির্বাচনী বাজেট প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে।
এদিকে ২৩শে ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা রেখেছে ইসি। আগামী বৃহস্পতিবার আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টি চূড়ান্ত করবে কমিশন। ওই বৈঠকে আইন শৃঙ্খলার বাজেট নিয়েও আলোচনা হবে। ইসি’র পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট (সংযোগস্থল) এবং সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করবেন।রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে তারা অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে। রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং অফিসার না চাইলে তারা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে যাবেন না।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনেও একইভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছিল ইসি। তবে ২০০৮ সালে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়। ইসি সূত্র জানায়, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ৪শ’ কোটি বরাদ্দ থাকলেও ৬টি বাহিনী পৃথকভাবে ৯৮৫ কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছে। নির্বাচনে মোট বাজেটের সিংহভাগ এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য রাখা হয়েছিল। ৭০২ কোটি টাকার মধ্যে ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। আর নির্বাচন পরিচালনা খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৩০২ কোটি টাকা। বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি’র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বিগুণ চাহিদা চাওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথকভাবে অতিরিক্ত দুইদিনের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে। তাদের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনের জন্য আসা এবং যাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ প্রয়োজন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, সশস্ত্র বাহিনীসহ বাকি ৫টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু শুধু পুলিশ থেকে এবার ৪২৪ কোটি টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আনসার-ভিডিপি থেকে ৩৮১ কোটি টাকা, বিজিবি থেকে ৭২ কোটি টাকা, র্যাব থেকে ৫০ কোটি টাকা এবং কোস্টগার্ড থেকে ৮ কোটি টাকার চাহিদা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। এর বাইরে সেনাবাহিনীর জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।