আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৭ ডিসেম্বর জনসভা আয়োজনে পুলিশি অনুমতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রোববার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
লিখিত আবেদনে তিনি বলেন, সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ পর্যায়ে রাজধানী শহরসহ সকল শহর, নির্বাচনী এলাকার উল্লেখযোগ্য স্থানে জনসভা করা নির্বাচনী প্রচারণার অনিবার্য অংশ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তাই আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছিলাম।
কিন্তু গত রাতে (শনিবার) পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর বিজভীকে ফোন করে জানানো হয়, ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় কোনো জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী আইন আরপিও’র সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার যৌক্তিক ও আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সামিল।
তিনি বলেন, আমরা যেন ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে পারি সে মর্মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং আস্থার প্রতীক। বিশ্বের বহু দেশে শান্তি স্থাপনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সুনাম অর্জন করেছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে চট্টগ্রাম-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) বাহারকে পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদেরই আটক করেছে। এটা দুঃখজনক ঘটনা।
‘‘নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহান চর জব্বার এলাকাতে গেলে আওয়ামী লীগ হামলা করে। আটক করা হয় বিএনপির প্রার্থীদেরই।’’
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও কুমিল্লার মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, দেবীদ্বার ও ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। এজন্য তাদের প্রত্যাহার দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট।