জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম কার্যদিবসে তেজ দেখিয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সেই সঙ্গে নতুন বছরের শুরুটাও ভালোভাবে শুরু করেছে বাজার। মঙ্গলবার দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উল্লম্ফন হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূরে ঠেলে বড় ধরনের হানাহানি ছাড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বছরের প্রথম দিনেই শেয়ারবাজার ইতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে।তারা আশা করছেন, কোনও ধরনের আতঙ্ক ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে নতুন বছরে বাজার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২০১৮ সালে শেয়ারবাজার খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু এখন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।মঙ্গলবার বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ঢাকার এ বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ১১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।