কল্পবিজ্ঞানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোবটকে দেখানো হয়েছে মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তা হিসেবে। আবার কোথাও মানুষের বুদ্ধির কাছে তারা জিম্মি। তবে বাস্তবে রোবট মানুষের পাশে থেকে বন্ধুর মতো অনেক কাজ করে দিচ্ছে। হাসপাতাল, বাণিজ্য সহ বিভিন্ন সেক্টরে রোবটের ব্যবহার এখন সর্বজনবিদিত। পণ্য বহনের ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগে। এখানে বলে রাখা ভাল যে ড্রোনও কিন্তু একটি রোবট। তবে মানুষ যেভাবে পণ্য বহন করে, পৌঁছে দেয় মালিকের বাড়িতে, বাসায়, ঠিক একই রকম কাজ করবে এক রকম রোবট। এর নাম দেয়া হয়েছে রোবো-ডগ।চালকবিহীন গাড়িতে দেখা যাবে তাদের। ওই গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছালে মাল নামিয়ে তা বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসবে রোবো-ডগ। সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাবে উপরে। দরজায় কলিং বেল টিপবে। এমন রোবট আবিষ্কার করেছে কন্টিনেন্টাল নামে একটি কোম্পানি। লাস ভেগাসে কনজুমার ইলেক্ট্রনিক্স শোতে (সিইএস) এমন রোবট ও চালকবিহীন ভ্যান প্রদর্শন করা হয়েছে। কন্টিনেন্টাল হলো জার্মানির অটোমেটিভ ফার্ম। তারা লাস ভেগাসে চার পা যুক্ত রোবো ডগ প্রদর্শন করেছে। দেখানো হয়েছে কিভাবে ওই ভ্যান থেকে সে পণ্য নামিয়ে তা সিঁড়ি বেয়ে গ্রহীতার দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে। তারা দরজা খুলতে পারে। এমন কি এলিভেটরে চড়তে পারে। রোবো ডগের ওজন ৬৬ পাউন্ড। সে বহন করতে পারে ২২ পাউন্ড পর্যন্ত পণ্য। একবার চার্জ দিলে তার ব্যাটারির স্থায়িত্ব থাকে দুই থেকে চার ঘন্টা। নিজে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে বা চারদিকে ঘুরতে পারে। হাঁটতে পারে ঘন্টা এক মাইল বেগে। তার শরীরে লাগানো আছে স্টেরিও ক্যামেরা। এই রোবটকে তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। পানি বা ময়লা আবর্জনায় যাতে সে নষ্ট না হয় সেদিকে রাখা হয়েছে নজর।