নির্বাচনের আগে যেসব দল এবং জোটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ হয়েছিল তাদের সঙ্গে আবার সংলাপে বসার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে সংলাপে আগ্রহ নেই বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে সংলাপ করতে চান না তারা। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের আগের সংলাপে কোনো ফল আসেনি। নির্বাচনের পরে এখন একটাই ইস্যু, তা হলো নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন। এই এজেন্ডা ছাড়া কোনো সংলাপ করে দেশ ও জাতির কোনো উপকার হবে না।
নির্বাচন পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সলাপে বসবেন বলে গতকাল জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগে অংশ নেয়া দলগুলোকেই ফের ডাকা হবে বলে জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী ফের সংলাপে ডাকলে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি সেই সংলাপে অংশ নেবে কিনা জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে একতরফা। কেউ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। এটাকে কোনো নির্বাচন বলা যায় না। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। এখন আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের এজেন্ডা ছাড়া কোনো সংলাপে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এখন সংলাপ হলে তার এজেন্ডা হতে হবে আরেকটি নির্বাচন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংলাপে যাবে কিনা সেটা আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারি না। বিএনপি মহাসচিব এবিষয়টি বলতে পারবেন। তবে এখন কিসের সংলাপ? নির্বাচনের আগে সংলাপ হয়েছে। সেই সংলাপের কোনো ফলাফল এখনো আসেনি। এখন কিসের ভিত্তিতে কি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সেটা পরিষ্কার নয়। আগের সংলাপেই তো দেশ কয়েক ধাপ নিচে নেমে গেছে। আর কি সংলাপ হবে।