স্বদেশ নিউজ২৪, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: সর্বস্তরের রুচিশীল, ভোজন রসিক আর বিনোদন প্রিয় মানুষের জন্য রাজধানীতে আরও একটি নান্দনিক রেস্টুরেন্টের শুভ সূচনা হয়ে গেলো। নাম: “কালোজিরা”- Testy & Joy Together। নামে যেমন চমক এর ভেতরটা আরও সুদৃশ্যমান। রেস্টুরেন্টের দেয়ালে চোখে পড়বে বাঙালি শিল্প ও সাহিত্যের জগত বিখ্যাত সব মহাপুরুষ লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুলসহ কবি-সাহিত্যিকদের অমর বানী সম্বলিত প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়াও “কালোজিরা”র প্রতিটি পরদেই রয়েছে নির্মল কারুকার্য আর শৈল্পিকতার ছোঁয়া। বুধবার রাতে রাজধানীর শিল্পাঞ্চল মোহাম্দপুরের রিং রোডে (টোকিও স্কয়ারের বিপরীতে দিকে) শত রকম খাবারের বহর নিয়ে এটির যাত্রা শুরু হয়েছে। আর এরই সঙ্গে আত্মনিয়োগ করেছেন সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কাজী শুভ। তিনি ব্যস্ত জীবনের বাইরে ছোট বেলার শখের বশে এই ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন। আরও আছেন দূরবীন ব্র্যান্ডের ভোকাল আইয়ুব শাহরিয়ারসহ বন্ধু-স্বজন। সার্বিক পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কবি সাদাফ হাসনাইন মনজুর এবং বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক মনিরুজ্জামান মনির।
কালোজিরার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাইবার ক্রাইম) নাজমুল ইসলাম, স্বনামধন্য অভিনেতা আহমেদ শরীফ, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, জনপ্রিয় নাট্যভিনেতা ও নির্মাতা শামীম জামান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শেফ টনি খান, অভিনেতা অন্তু করিম, কন্ঠশিল্পী সাঈদ শহিদ, সোহেল মেহেদি, পরানসহ শিল্পী পরিবার, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকবৃন্দ। সকলের উপস্থিতিতে বিশালাকার কেক ও রঙিন ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কাজী শুভ বলেন, ছোট বেলা থেকে মানুষকে নিজ হাতে খাওয়ানোর ইচ্ছে থেকেই এই আয়োজন। আমি নিজেও রান্না করতে পারি। সকলের দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে আমাদের রেস্টুরেন্ট “কালোজিরার” যাত্রা শুরু করলাম। এটি শুধুমাত্র একটি রেস্টুরেন্ট না, আমাদের নিজেদের ঘর। আমার ভক্ত-অনুরাগিসহ সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনারা স্বপরিবারে রেস্টুরেন্টে আসবেন, দেখবেন, বসবেন, খাবেন। এটাই আমাদের সার্থকতা।
কালোজিরার তত্ত্বাবধায়ক সাদাফ হাসনাইন মনজুর বলেন, ভোজন রসিক মানুষের তৃপ্তির যথোপযুক্ত ঠিকানা কালোজিরা। আমাদের রয়েছে সার্বক্ষণিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম পরিবেশ এবং সকলের স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে গুণগত মানসম্পন্ন দেশী-বিদেশি খাবারের শত রকম আইটেম। রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি বাঙালিয়ানা চা ও ফার্স্ট ফুডের জন্য একটি “টি টার্মিনাল” করা হয়েছে।