লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম মান্দারী এলাকায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংর্ষষে একই পরিবারের ৬জন সহ নিহত হয়েছেন ৭জন। বুধবার ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী একই পরিবারের শাহ আলম ও তার শিশু পুত্র অমিত হোসেন, সামছুন নাহার ও তার দুই মেয়ে নাছিমা আক্তার, রোকেয়া বেগম এবং মেয়ের জামাতা রুবেল হোসেন ও সিএনজি চালক নুর হোসেন। একই পরিবারের নিহত সবাই সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের সাদারঘর ও সিএনজি চালক নুর হোসেন একই উপজেলার নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে ঘটনার পর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্বজনরা জানান, নিহত শাহ আলমের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নাদিম মাহমুদ অন্তরকে মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের সাদারঘর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত নাদিম মাহমুদ অন্তরকে দেখতে তার পারিবারের লোকজন হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছিলো। এসময় পশ্চিম মান্দারী এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সাটি পৌঁছলে দ্রুতগতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে সিএনজি অটোরিক্সাটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে।এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় সবাই। তিন ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক ও সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় দু-পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রেকার আসতে দেরি হওয়াতে উদ্ধার কাজে তিন ঘন্টা সময় লেগেছে। সঠিক সময়ে রেকার এলে এতো প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতো না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আবদুল্লাহ ও চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহজাহান নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ তিন ঘন্টার চেষ্টা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক ও সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে করে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাক চালক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ।