জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিসেন্ট গ্রুপের এম এ কাদের ও মো. আব্দুল আজিজসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো করা হয় বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ, ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাঁচ পরিচালক এবং ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এম এ কাদের ও আব্দুল আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রূপালী কম্পোজিট লেদার লিমিটেডের পরিচালক সামিয়া কাদের নদী, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক সুলতানা বেগম, পরিচালক রেজিয়া বেগম, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুন জাহান মীরা ও মেসার্স লেক্সকো লিমিটেড পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। এছাড়া জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, মো. খায়রুল আমিন, বাহারুল আলম, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, এস এম শরীফুল ইসলাম, ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, এ কে এম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মো. জাকির হোসেন ও ডিএমডি ফখরুল আলম।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রপ্তানি না করে ভুয়া নথিপত্র দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ ওই অর্থ জনতা ব্যাংক থেকে রপ্তানি ঋণ সুবিধা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের নামে ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের নামে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা, লেক্সকো লিমিটেডের নামে ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ টাকা, রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের নামে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে ৬৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৭ টাকা জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারি ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং আইনে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও সরকারি ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
চকবাজার মডেল থানায় করা ৩ মামলায় ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ১৫.৮৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।