দলীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আগামী নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত আসবে’।
ব্রুনাই দারুসসালামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্যসমাপ্ত তিন দিনের সরকারি সফর নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সকল কমিটিকে ডিজিটালাইজড করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনীতিক দল, জনমানুষের দল। দলের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে, সে অনুযায়ী-ই দল পরিচালিত হয়।
‘কে নেতৃত্বে আসবে সেটা দল ঠিক করবে। এটা তো আমি ঠিক করবো না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে তার নেতৃত্ব বেছে নেবে।’ ‘আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে আসবে এটা দল ঠিক করবে। আমি ঠিক করতে যাব কেন?’
রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া প্রসঙ্গে চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবসর তো নিতেই হবে। এরপরে দলের নেতৃত্বে কে আসবে কিংবা নেতা কে হবেন-সেটা বেছে নেবে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ।
তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো হলে বলে প্রধানমন্ত্রী পূর্বে দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিশদ জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল। আমরা কিন্তু আমাদের গঠনতন্ত্র মেনে সংগঠনটা তৈরি করি। আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে, সম্মেলনের পরে আমাদের আবারও সম্মেলনের সময় এসে গেছে।’
সম্মেলনের (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগে আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায় পর্যন্ত কিন্তু সম্মেলনগুলো করে। এ ছাড়া পৌরসভা, মহানগর এ সমস্ত সম্মেলনগুলো আমরা করি। ঢেলে সাজাবো মানে এই সম্মেলনগুলো আবার করতে হবে।’ ‘আমরা ইতিমধ্যে ৮টি টিম করে দিয়েছি, দলের ৮টি বিভাগের জন্য। এই ৮টি টিমের ওপর দায়িত্ব আছে যে তারা জেলাভিত্তিক কমিটিগুলো করে দেবে। একেবারে তৃণমূল থেকে কমিটি করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সকল কমিটিকে ডিজিটালাইজড করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
দেশের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ক্ষমতায় এলে যে দেশের উন্নয়ন করা যায় সেটি আওয়ামী লীগ করে দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নেয়।
বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো চাপ নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রুনেই সফর নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।