দেড় লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
ইমরান আহমদ বলেন, আগে কর্মী পাঠাতে সরকার-নির্ধারিত ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে। অনেক সময় ৪ লাখ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এবার সেটা যেন না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ভালো খবর আসতে পারে বলেও আশা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বন্ধ শ্রমবাজারের দ্বার খোলার বিষয়ে ঈদের পর ভালো খবর আসতে পারে।
কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো কর্মীরা কাজ পাচ্ছেন না। এসব কর্মীকে অস্তিত্বহীন কোম্পানিতে পাঠানোর বিষয়ে হাইকমিশন কীভাবে সত্যায়ন করল? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সিকে তিনি চেনেন না। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ পাননি, পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিকের এ বিষয়ে মন্ত্রীকে বলেন, প্রতারিত কর্মীরা হাইকমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে, সচিবকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান, অতিরিক্ত সচিব মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠন আরবিএমের সভাপতি ফিরোজ মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক উপস্থিত ছিলেন।