ভারি বর্ষণে অচল হয়ে পড়েছে মুম্বই ও এর আশপাশের এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে মুম্বই থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ৭০০ যাত্রী নিয়ে আটকা পড়েছে একটি রেল। সেখান থেকে লোকজনকে উদ্ধারে নামানো হয়েছে দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বাহিনীর ৬টি বোট। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার রাতেই থানে’র ভাঙ্গানির কাছে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে মুম্বই-কোহলাপুর মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলফোন ব্যবহার করে ভিডিও পোস্ট করে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে ১৫ ঘন্টা ধরে কোনো খাবার পানি ও খাবার নেই। তারা ট্রেন থেকে বেরও হতে পারছেন না। কারণ, সবদিক দিয়ে ট্রেনটি ৫ থেকে ৬ ফুট পানি ঘিরে রেখেছে।
এ অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়া যাত্রীদেরকে ট্রেন থেকে না নামার পরামর্শ দিয়েছে রেল বিভাগ। বলা হয়েছে, রেল থেকে নামলেই বাইরে পানির স্তুর বিপদজনক। তাদেরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ট্রেনের ভিতরে অপেক্ষা করতে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ গাইকোয়াড বলেছেন, উদ্ধার কাজে সামরিক বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় দুর্যোগ বিষয়ক বাহিনীর ৬টি টিম উদ্ধার অভিযোনে কাজ করছে। রেল কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে বলেছেন, এরই মধ্যে দু’শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ভারি বর্ষণে শনিবার ভোর থেকেই বদলাপুর, উলহাসনগর, ভাঙ্গানি শহরের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় নদী ও খালবিলগুলোর পানি উপচে পড়ছিল। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের বিমান ও রেল চলাচল বিঘিœত হয়েছে। দৃষ্টিসীমা স্পষ্ট না হওয়ার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরে শনিবার সকালে ১১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কিছু ফ্লাইটের গতিপথ পাল্টে দেয়া হয়েছে। আর রাজপথে শহরবাসী অনেক স্থানে বুক সমান পানি ভেঙে চলাচল করছেন।