টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম নুর মোহাম্মদ। পুলিশ জানিয়েছে, সে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী।
শনিবার ভোরে সহযোগীসহ নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। সারাদিন তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রোববার ভোরে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে নুর মোহাম্মদকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।
উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অভিযান চালালে তার সিন্ডিকেটের সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। তারা নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ৪০-৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় নুর মোহাম্মদ।
পরে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটানস্থল থেকে চারটি এলজি, একটি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খোসা জব্দ করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১) ও অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হন।
নিহত নুর মোহাম্মদ (৩৪) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। ১৯৯২ সালে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে জাদিমুড়ায় বসতি স্থাপন করেছিলো। সে যুবলীগের স্থানীয় নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।