চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মিসেস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনের খেতাব বিজয়ী অবনী জানালেন, জীবনের বাকি সময়টা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের পাশে থাকতে চান। তাদের জন্যই কাজ করে যেতে চান। তাদের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চান। রাজধানীর গুলশানে চার মাস আগে অবনী গড়ে তোলেন নাচের স্কুল ‘অবনীস’। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি বিনা পয়সায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের নাচের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। যেহেতু অবনী নাচে প্রতিষ্ঠিত, তাই তিনি নিজেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করার স্বপ্ন তার। হঠাৎ কেন তাদের নিয়েই বেশি কাজ করার উদ্যোগ? এমন প্রশ্নে অবনী বলেন, সত্যি বলতে কী বিশ্বের অন্যান্য দেশে তারকারা সমাজের অসহায় মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করে যেভাবে কাজ করে আমাদের দেশে তা খুবই কম হয়। এ কারণেই আমি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। তাদের মনের সৌন্দর্য বিকাশে নিজেকে সবসময়ই নিয়োজিত রাখতে চাই। চ্যারিটি শো’র মাধ্যমে তাদের জন্য ফান্ড গঠনের মধ্যদিয়ে তাদের জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই। একজন মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য ভূমিকা রাখতে চাই সবসময়। গেল ২১শে সেপ্টেম্বর ‘মিসেস বাংলাদেশ’ খেতাবে ভূষিত হওয়ার পর থেকে অনেক নাটকে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছেন অবনী। কিন্তু নাটকে অভিনয়ে আপাতত আগ্রহ নেই তার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি অভিনয় পারি না। তাই যা পারি না জোর করে তা করতে চাই না। শিখে তারপর অভিনয় করতে চাই। অবনীর ভাষ্যমতে, সংস্কৃতি অঙ্গনে সিনেমা, নাটক ও মঞ্চ অনেক এগিয়ে থাকলেও নাচ অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তাই নাচ নিয়েই তিনি বেশি কাজ করতে চান। বাংলাদেশে নাচের প্রসারে কাজ করতে চান। বাংলাদেশ ললিতকলা একাডেমি থেকে পাঁচ বছরের নাচের কোর্স শেষে অবনী নাচ শিখেছেন তাবাসসুম আহমেদ ও আমিরুল মনির কাছে। নাচে তার আদর্শ ভারতের বিরজু মহারাজ। ২০১৬ সালে তার কাছে তিনি নাচে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ‘মিসেস বাংলাদেশ’ হওয়ার ক্ষেত্রে অবনীর স্বামীই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পাশাপাশি বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা তো ছিলই। অবনী ২০১১ সালে শহীদ আনোয়ার থেকে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে চলতি বছর তিনি আহসান উল্যাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন।