ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতির দায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার গোলাম বদিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে প্রিটোরিয়ার একটি আদালাত। ২০০০ সালে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক হ্যানসি ক্রনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর ২০০৪ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য নতুন আইন করা হয়। যার শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের আওতায় প্রথম কারাদণ্ড পাওয়া ক্রিকেটার গোলাম বদি। তবে প্রিটোরিয়ার আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
সুপার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া র্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কাভার করেন গোলাম বদি। সেই সুযোগে ম্যাচ ফিক্সিং এবং অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। যে কারণে গোলাম বদিকে ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। এরপর সিএসএ মামলাটি পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
গত বছরের জুলাইয়ে বদি নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। নভেম্বরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। আদালতের দেয়া সময় অনুযায়ী গত জানুয়ারিতে কারাদণ্ড পাওয়ার কথা ছিল এই ক্রিকেটারের। কিন্তু কয়েক দফায় পিছিয়ে অবশেষে ১৮ই অক্টোবর তাকে ৫ পছরের জেল দিলো প্রিটোরিয়ার আদালত।
২০১৫ সালের ফিক্সিংয়ের ঘটনায় বদির সঙ্গে ইথি বালাথি, থামি সোলেকিলে, জন সাইমস, লনওয়াবো সতসোবে, পুমি মাথসুইকে এবং আলভিরো পিটারসেনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তাদের প্রত্যেককে ২ থেকে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ক্রিকেটে। এদের মধ্যে আলভারো পিটারসেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন ধারাভাষ্যে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০০৭ সালে দুটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার কাম চায়নাম্যান বোলার গোলাম বদি। এরপর তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা থেমে যায়। এর আগে ২০০২ সালে একবার জাতীয় দলে ডাক পেলেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি বদি।