রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রবেশের জন্য এন্ট্রি টিকেটের ব্যবস্থা করেছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই এন্ট্রি টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বিনোদন সাংবাদিকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সন্ধায় এই টিকেটের জন্য সাংবাদিকদের নাম জমা দিতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে। কিন্তু অনেক সাংবাদিক নাম দেওয়ার পরেও তাদের অনেকেরই এন্ট্রি কার্ডের অনুমোদন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তারপর আবার পূনরায় নাম জমা দেন সাংবাদিকরা কিন্তু তারপরও বেশিরভাগ সাংবাদিক এন্ট্রি কার্ড না পেয়ে অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সাংবাদিকদের অভিযোগ এন্ট্রি কার্ডের নামে বেশিরভাগ সাংবাদিককেই কাল নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে অঘোষিত বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কমিশনে নাম জমা দেওয়ার পরেও বেশিরভাগ সাংবাদিক এন্ট্রি কার্ড পাননি বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।
উক্ত বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজের বিনোদন রিপোর্টার লিমন আহাম্মেদ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘কাল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বিকেল ৩টায় ঢুকে রাত ১০টায় নির্বাচনে প্রবেশের কার্ড পেয়ে মনে হচ্ছে কাল রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, আমি একটা ভোট না দিলে নির্বাচনটা বাতিল হয়ে যাবে! মাঝামাঝে পেশাটারে মনে হয় মদের বোতল আর আমি দেবদাস!
যারা একটা সিম্পল নির্বাচনকে এত জটিল আর আমলাতান্ত্রিক করে তুলেছেন সেইসব শিল্পী নেতানেত্রীদের লাল সেলাম….’।
উক্ত বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সারাবাংলা ডট নেটের বিনোদন সাংবাদিক রেজওয়ান সিদ্দিক অর্ন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে এন্ট্রি কার্ড দেওয়ার নামে ফাইজলামি করতেছে ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব। সাংবাদিকদের নির্বাচনটা বয়কট করা উচিত’।
উক্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।