ইন্টারনেট জগতে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছেন একজন নারী পর্যটক। তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালি’তে বেড়াতে গিয়ে এই ঝড় তোলেন। অজ্ঞাত ওই যুবতীকে দেখা যায় একেবারে নগ্ন অবস্থায়। এ সময় তার শরীরে পোশাক বলতে ছিল এক চিলতে বিকিনি। তাকে বিকিনি বললেও ভুল হবে। সুতার মতো আধা ইঞ্চি চওড়া কাপড়। ফলে যে পশ্চিমা মিডিয়া সেন্সর ছাড়াই এমন ছবি প্রকাশ করে, তারা পর্যন্ত ছবি সেন্সর করে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে। ওই যুবতীকে দেখা গেছে, এমন পোশাকে মার্কেটে কেনাকাটা করছেন।
কোনো লজ্জাশরম নেই। অবলীলায় তিনি ঘুরছেন সেখানে। স্থানীয় মানুষের অনুভূতির প্রতি তার কোনো তোয়াক্কা নেই। ইন্দোনেশিয়া একটি মুসলিম রক্ষণশীল দেশ। তাই স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এই আচরণ।
বিষয়টি উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। তাতে যে ছবি ও লেখা প্রকাশ পাচ্ছে বলা হচ্ছে, ওই যুবতী ওই সময় শুধু একটি জি-স্ট্রিং থং আর নামমাত্র বিকিনি পরা ছিলেন। এভাবেই তিনি দোকানে দোকানে ঘুরেছেন প্রকাশ্যে। তার এ আচরণে বালি এক্সপ্যাট ফেসবুক নামের একটি গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারা তাকে ধুয়ে দিচ্ছে সমালোচনায়। তাদের একজন লিখেছেন, আমি তো বিস্মিত যে, পারিবারিক একটি আবাসিক এলাকায় এমন ব্যক্তিকে দোকানে ঢুকতে দেয়া হয়েছে। আর ওই যুবতী তাতে মনে করেছেন এখানে এই সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য। ওই যুবতীর সঙ্গী সহ তার সমালোচনা করে আরেকজন লিখেছেন, আপনাদের দু’জনের ওপরই লানত। পিছনের অংশের চেয়ে তো সামনের অংশগুলো আরো ছোট। আরেকজন লিখেছেন, এতটা অসম্মান। যখন কেনাকাটা করছেন একটা পোশাক কিনি নিন।
ওই যুবতীকে নিয়ে দেয়া পোষ্ট এরই মধ্যে মানুষের মন্তব্যে সয়লাব। শত শত হাজার হাজার মন্তব্য। তার বেশির ভাগেই বলা হচ্ছে, ওই যুবতীর সাংস্কৃতিক অনুভূতির বিষয়ে ঘাটতে আছে। একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমি শুধু জানতে চাই এই যুবতী তার নিজের শহরেও কি এই পোশাকে কেনাকাটা করতে যান। যদি তা না হয়, তাহলে তিনি কিভাবে ভাবলেন যে, বালিতে এটা স্বাভাবিক। আরেকজন লিখেছেন, স্থানীয়দের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই ওই যুবতীর। আবার যিনি ওই যুবতীর এসব ছবি ধারণ করেছেন তারও সমালোচনা করছেন অনেকে। তারা বলছেন, ওই যুবতী না হয় সংস্কৃতির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। কিন্তু কেউ একজন ওই ছবি তুলে তা পোস্ট করে দিয়ে তাকে লজ্জায় ফেলেছেন। তারও তো শ্রদ্ধাবোধ নেই।