ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অক্টোবরে বাংলাদেশী সন্দেহে ৬০ জন শ্রমিককে আটকের পর সেখানে বাংলাভাষীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদের বেশিরভাগই রক্ষী বা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। অবৈধ অভিবাসীদের চাকরি না দিতে স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গুজব ছড়িয়েছে যে, বাংলাদেশী সন্দেহে অনেক বাঙ্গালি শ্রমিক ও গৃহকর্মীদের চাকরি থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে এই গুজবের কোনো ভিত্তি না পেলেও, ভারতের এই বৃহৎ শহরটির বাংলাভাষীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকা।
খবরে বলা হয়, এই আতঙ্কের আংশিক কারণ হলো, বিজেপি নেতারা অনেকদিন ধরেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি হালনাগাদের হুমকি দিয়েছেন। এই নাগরিক পঞ্জির কারণে আসামে ১৯ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, কর্ণাটক রাজ্যেও এই নাগরিক পঞ্জি প্রয়োগ করা হবে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও এই নাগরিক পঞ্জি প্রয়োগের হুমকি রয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।
ব্যাঙ্গালোরের কয়েকটি আবাসিক সমিতির প্রধানরা বলছেন, বাঙ্গালিদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। স্থানীয় পুলিশও বলছে, এ ধরণের কোনো নির্দেশনা তারা দেননি। তবে অনেক জায়গায় বাঙ্গালি শ্রমিক বা গৃহকর্মীরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। একটি বৃহৎ আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক চলে গেছেন। আমাদের গৃহকর্মী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ৩ দিন আগে সে-ও আসা বন্ধ করে দিয়েছে। সে বলছিল যে, বাংলা ভাষী শ্রমিকদের জন্য পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। এ ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন শহরের বহু মানুষই। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্গালোরে প্রায় ২০ হাজার বাঙ্গালি শ্রমিক ও গৃহকর্মী কাজ করেন।