বিপিএলের ১১তম ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেন সৌম্য সরকার-সাব্বির রহমান। গতকাল রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের জয়ে অবদান রাখেন তারা। সৌম্য ওপেনিংয়ে নেমে ৩৪ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪১ রান। সাব্বিরের ব্যাট থেকে ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় আসে ৪৯ রান। ১৮২ রানের লক্ষ্যটা ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। বিপিএলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল কুমিল্লা। আর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রংপুর নিলো প্রথম হারের স্বাদ।
রান তাড়ায় কুমিল্লাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সৌম্য-ভানুকা রাজাপাকসে। লঙ্কান ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কুমিল্লা তোলে ৬১/১। দলীয় ৯০ রানে বিদায় নেন সৌম্য। বিপিএলের নিজের প্রথম ম্যাচে ২৬, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রান করেন এই বাঁহাতি। আগের দুই ম্যাচে বল হাতে নেন ৩ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচেও তার শিকার এক উইকেট। মালানের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে সাব্বির আউট হন ইনিংসের ১৬.৫ ওভারে। আগের দুই ম্যাচ মিলিয়ে ২৩ (১৯+৪) রান করেছিলেন সাব্বির।
সাব্বির যখন ফিরেছেন জয়ের জন্য কুমিল্লার তখনো ৩৬ রান প্রয়োজন। তবে কাজটা সহজ করে দেন ডেভিড মালান। ১৮তম ওভারে ১৩ আর ১৯তম ওভারে ১১ রান তুলেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান প্রয়োজন ছিল ওয়ারিয়র্সের। টম আবেলের করা প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান ডেভিড মালান। দ্বিতীয় বলে লেগ বাইয়ের সুবাদে এলো এক রান। তৃতীয় বলে আউট হয়ে গেলেন দাসুন শানাকা। তবে চতুর্থ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করলেন মালান। মালান ২৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। রংপুরের হয়ে মোহাম্মদ নবী, মুকিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও টম আবেল একটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ এদিনও ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৫ রান।
আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো ফিফটিতে ১৮১/৮ সংগ্রহ করে রংপুর। দেশীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৮ ও আল আমিন ১ রান করেন। আফগান ওপেনার শাহজাদ ২৭ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস উপহার দেন। টম আবেল ২৫, মোহাম্মদ নবী ২৬, লুইস গ্রেগরি ২১ রানের ইনিংস খেলেন। আরাফাত সানী ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার হয়ে মুজিব উর রহমান ২৫ রানে ২ উইকেট নেন। আল আমিন হোসেন, সৌম্য সরকার ও সানজামুল ইসলাম প্রত্যেকের শিকার ১টি করে উইকেট।