মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটা) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে তাকে অভিশংসিত করতে বিল উত্থাপিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিলটি অল্প ব্যবধানে পাস হবে। নিজের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটদের এই অভিশংসন প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করে, হাউজ স্পীকার ও শীর্ষ ডেমোক্রেট ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। চিঠিতে অভিশংসন প্রক্রিয়াটিকে ‘অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, ট্রাম্প তার চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, পেলোসি অভিশংসন প্রক্রিয়া চালু করে ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছেন। চিঠিতে নিজের নির্দোষতাও দাবি করেছেন শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা।
তার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই ধারায় অভিযোগ এনেছে। একটি হচ্ছে, ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরটি হচ্ছে অভিশংসন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা। গত ২৫শে জুলাই জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এক ফোনালাপ ঘিরেই এই জটিলতার সূত্রপাত। ওই ফোনালাপে তার রাজনৈতিক ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করতে জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অন্যথায় সামরিক সহায়তা আটকে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালু হয়। তদন্তে তার সহযোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য দেয়া থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার চিঠিতে লিখেন, অভিশংসন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই তাকে তার মৌলিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চিঠিতে অভিশংসন প্রক্রিয়াকে কেলেঙ্কারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, সংবিধান তাকে প্রমাণ উপস্থাপন সহ যে মৌলিক অধিকার দিয়েছে তা এই প্রক্রিয়ায় খণ্ডিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে লিখেন, সালেম উইচ বিচার প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদেরও এর চেয়ে বেশি ন্যায্য প্রক্রিয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। প্রতিনিধি পরিষদ অভিশংসন নামের কুৎসিত শব্দটির গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি। কিন্তু তিনি ওই নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।