দেশের প্রায় ৮০টি সিনেমা হলে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়া অভিনীত সিনেমা ‘শাহেনশাহ’। শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন শামীম আহমেদ রনি। কথা ছিল, জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনায় ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবির পরিবেশনার দায়িত্ব নেয় শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস। কিন্তু জাজের অনুমতি না নিয়েই ছবি চালানোর জন্য সিনেমা হলে প্রজেক্টর মেশিন, সার্ভার, সাউন্ড সিস্টেম, পাওয়ার এমপ্লিফায়ার, সাউন্ড বক্স, ইউ.পি.এস, ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার, এসি ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। সার্ভার সিস্টেমের যন্ত্রাংশ বিভিন্ন সিনেমা হলে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার ম্যানেজার শহীদুল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, ‘শাহেনশাহ’ ছবিটি প্রথমে জাজের অফিস থেকে রিলিজ করার কথা ছিলো। তবে পরে ছবির প্রযোজক সেলিম খান এসকে ফিল্মসকে দায়িত্ব দেন।
কিন্তু তারা জোনাকী, তাজমহলসহ বেশকিছু সিনেমা হলে আমাদের জাজের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে। হল মালিকরা তো চাইলে আমাদের এসব যন্ত্রাংশ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করতে পারেন না। এটা নিয়ে আপত্তি করাতে আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন প্রযোজক ইকবাল। প্রাণ নাশেরও হুমকি দিয়েছেন। তাই হাতিরঝিল থানায় বাধ্য হয়ে আমি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছি। জিডি নং-২১৯। এদিকে প্রযোজক ইকবাল এ প্রসঙ্গে বলেন, এসকে ফিল্মসের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি এই শহীদুল্লাহ মিয়া পাইরেসি করেছে। এরপর শাকিব খানের ‘বীর’ ছবিটিও পাইরেসি করার চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে প্রযোজক সমিতিতে অভিযোগও করেছি আমি। এ বিষয়টি নিয়েই মূলত আমি উচ্চবাক্য করেছি। ‘শাহেনশাহ’ ছবির বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছুই বলিনি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার শহীদুল্লাহ মিয়া পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত আছে। ‘ভালোবাসা ডটকম’ নামে একটি ছবির পাইরেসি করেছেন তিনি। এমন অভিযোগ আমাদের সমিতিতে আছে। আমরা সমিতির মিটিংয়ে বিষয়গুলো নিয়ে সামনে কথা বলবো। উল্লেখ্য, শামিম আহমেদ রনির ‘শাহেনশাহ’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়া।