যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক বা মুখবন্ধনী পরা বাধ্যতামূলক করলেন গভর্নর অ্যান্ড্রু এম. কুওমো। বিশেষ করে যেখানে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না সেখানে মাস্ক বা মুখ আবৃত রাখার মতো কিছু পরতেই হবে। শুক্রবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। প্রকাশ্যে যেসব স্থানে একে অন্যের চেয়ে ৬ ফুট দূরত্ব রক্ষা করা যায় না, সেসব স্থানে মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে বাস বা সাবওয়ে বা লোকসমাগম বেশি এমন ফুটপাত ও মুদি দোকানকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
গভর্নর কুওমো মাস্ক পরার ওপর এই আদেশ দিয়ে বলেন, “বিস্তার ঠেকানোই আসল কথা। আপনি একজন মানুষের একেবারে পাশে এসে দাঁড়ালেন আর মাস্ক পরলেন না, এ কেমন কথা?”
নিউ ইয়র্কের পাশাপাশি ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যও বুধবার একই ধরণের আদেশ দিতে যাচ্ছে।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সরকার এই আদেশ বাস্তবায়ন করবে। তবে মাস্ক না পরলে গণপরিবহন থেকে বের করে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কে এই মুহূর্তে বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। নিউ ইয়র্কের গণপরিবহনেও এই রোগ ব্যপকভাবে আক্রমন করেছে। এই খাতে কাজ করেন এমন ৫৯ কর্মী মারা গেছেন। ২২৬৯ জনের মধ্যে রোগের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
কুওমো বলেছেন, এই আদেশ না মানলে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে জরিমানা আরোপ করা হবে। তিনি বলেন, “মাস্ক না পরার কারণে আপনাকে জেলে যেতে হবে না।”
একই ধরণের নিয়মত গত সপ্তাহে নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যেও আরোপ করা হয়। সেখানকার গভর্নর ফিলিপ ডি. মারফি খুচরা দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে সবার মাস্ক পরতে হবে বলে আদেশ জারি করেন। নিউ জার্সির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা জারি করা হয়েছে যে, মুখ আবদ্ধ না রাখলে বা মাস্ক না পরলে দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনেক দোকান সরাসরি এ ধরণের মানুষকে বের হয়ে যেতে বলছে।
অপরদিকে মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হগান বলেন, “রাজ্যকে যদি নিরাপদে চালু করতে হয় আবার, তাহলে মাস্ক পরার বিষয়টি আমাদের হয়তো আরও আত্মস্থ করতে হবে।”
নিউ ইয়র্কে গভর্নর কুওমো বলেন, খালি রাস্তায় হাটার সময় মাস্ক পরতেই হবে এমন নয়। তবে তিনি বলেন, “আপনি ধরুন একটা মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। সেখানে মানুষজন আছে। আপনি হয়তো মোড় পার হওয়ার সময় মানুষের পাশ দিয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে মাস্ক পরে নিন। আমাকে সংক্রমিত করার কোনো অধিকার আপনার নেই।”