করোনার কারণে গত ২০ মার্চ থেকে ক্যাম্পাস ছুটি। হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা আতঙ্কে সব মানুষ যখন ঘরবন্দী তখন ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে ঘরে বসে নেই অনন্যা। অর্থ সংকটে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন। অনেকে করোনার কারণে বাইরে যেতে নিষেধ করলেও তিনি শুনেনি, সহায়তার হাত বাড়িয়ে মানুষে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।অন্যন্যা জানান, করোনায় অনেকে কাজ বন্ধ থাকায় আয় নেই। আর আয় না থাকায় ঘরে খাবার নেই এমন মানুষকে খুঁজে খুঁজে প্রথম দফায় ৪০০ পরিবারকে খাবার দিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় খাবার দিয়েছেন ৩০০ পরিবারকে। ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সোয়াবিন তেল, ২টি সাবান ও এক হালি ডিমবক্স। রমজান মাসে প্রতিদিন ২০০ মানুষকে ইফতারি দেন। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তা নিয়ে তিনি খাবার তুলে দিচ্ছেন।ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা বলেন, করোনার কারণে সবচেয়ে কষ্টের মধ্যে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। গরিব ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীরাও মহাসংকটে পড়েছেন। অনেকে ঘরে খাবার নেই। অনেকে খাবার চাইতেও পারছেন না। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।’তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্রকমী হিসাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। নিজের সাধ্যমত পিতার সহযোগিতায় খাবার তুলে দিচ্ছি। যতদিন সংকট থাকতে ততদিন চালিয়ে যাবো। করোনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও সংকটে রয়েছেন, তাদেরকেও অর্থ সহায়তা করেছি