ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম আছে। তবে এই প্রথম মানবপাচারী কোনও বাংলাদেশির নাম সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, মিন্টু মিয়া হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি, যার নাম মানবপাচারকারী হিসেবে ইন্টারপোলের লাল তালিকায় স্থান পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়সহ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এই সপ্তাহে মিন্টু মিয়ার নাম তালিকায় যোগ করে ইন্টারপোল৷ বর্তমানে সারা বিশ্বের সাত হাজার ৩৬৮ জন অপরাধীর নাম লাল তালিকায় রয়েছে৷
মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা৷
জান্নাত আরা বলেন, ‘এই পাচারকারীরা দেশের বাইরে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেয়৷ এরপর লিবিয়ায় তাদের আটকে রেখে টাকার জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়। ইন্টারপোলে তাদের পুরো তথ্য দেয়ায় তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে, যে দেশেই তারা যাক না কেন সেখানে আটকের চেষ্টা করা হবে তাদের৷’
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগ প্রধান অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে এবং পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের আসা বন্ধ হবে৷
গেল মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়৷ জুন মাসে কমপক্ষে ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পুলিশের দাবি, এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন৷ গেল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাচারকারী অন্তত ৪শ’ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল৷
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলতি বছরের প্রতিবেদনে মানবপাচার নিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাচার রুখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে৷ হাজারো মামলা নিষ্পত্তি করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, যদিও অভিযুক্তের সংখ্যা এখনও কম৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।