২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান সংগঠনের সভাপতি মো. ফারুক হাসান।
পোশাকশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নতুন রূপকল্প প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকালে লোগো উন্মোচন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে উদ্ভাবন, সার্কুলারিটি এবং সবুজ উদ্যোগের বিষয়টি তুলে আনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ফারুক হাসান বলেন, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা পোশাক ও বাজারে বৈচিত্র্য আনছেন। তবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিকারকদের ম্যান মেইড ফাইবার, প্রযুক্তিগত পোশাক এবং উচ্চমূল্যে সংযোজিত পোশাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক খাতের মাধ্যমে চার হাজার ২৬১ কোটি ডলার আয় করেছে, যা আগের বছর থেকে ৩৫.৪৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিট পোশাক পণ্য থেকে আয় হয়েছে দুই হাজার ৩২১ কোটি ডলার এবং ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৯৩৯ কোটি ডলার। এর আগে বিজিএমইএ ২০১৫ সালেও ২০২১ সালের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
লোগো উন্মোচন নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যেহেতু বিজিএমইএ আমাদের পোশাকশিল্পের মুখপত্র, তাই এ শিল্পের এগিয়ে যাওয়া এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিজিএমইএর নিজস্ব ব্র্যান্ডিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা বিজিএমইএর অতীত ঐতিহ্যকে অটুট রেখে আগামীর টেকসই শিল্প নির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে বিজিএমইএর করপোরেট আইডেনটিটি অর্থাৎ লোগোতে পরিবর্তন এনেছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি বিজিএমইএর রিনিউড ভিশন বা নতুন প্রত্যয় সমগ্র বিশ্বে পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেবে। এটি একটি ডাইনামিক লোগো, যাতে ৯টি অগ্রাধিকারসম্পন্ন বিষয়কে ডটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর প্রতিটিরই স্বতন্ত্র অর্থ আছে। ’
ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে পোশাকশিল্প এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, যে শিল্পের প্রচলিত নিয়মগুলো খাটছে না, প্রায়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিল্পকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য পণ্যের ডিজাইন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া, সর্বশেষ প্রযুক্তি গ্রহণ করা, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা এবং কারখানাগুলোকে আরো টেকসই করার কোনো বিকল্প নেই। আর এ প্রচেষ্টাগুলো শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জ্ঞানার্জন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। এই কেন্দ্রের লক্ষ্য হচ্ছে পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা। ’