অনিচ্ছাকৃত নিষিদ্ধ দৃষ্টি ক্ষমাযোগ্য

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমাদের দৃষ্টি অবনত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এটাই তাদের জন্য শুদ্ধতর। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত।’ (সুরা : আন-নুর, আয়াত : ৩০)

 

যে ব্যক্তি তার দৃষ্টিকে অবনত রাখবে আল্লাহ তাআলা তার অন্তরকে পবিত্র রাখবেন। তখন তার হৃদয়ে গুনাহের প্রবঞ্চনা জাগ্রত হবে না। ফলে সে ইবাদতের স্বাদ অনুভব করবে আর যাবতীয় শয়তানি কুমন্ত্রণা ও ধোঁকা থেকে নিষ্কৃতি লাভ করবে।

আমাদের অনেক সময় এমন হয় যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পথে-ঘাটে, গাড়িতে কিংবা বাজারে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি চলে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? এটা তো ইচ্ছাকৃত হয়নি; বরং অনিচ্ছাকৃত হয়েছে। প্রিয় নবী (সা.) এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলী (রা.)-কে বললেন, ‘হে আলী, কোনো নারীকে একবার দেখার পর দ্বিতীয়বার দেখবে না। কেননা তোমার জন্য প্রথমবার দেখার (অনিচ্ছাকৃত) অনুমতি (ক্ষমা) আছে; কিন্তু দ্বিতীয়বার দেখা জায়েজ নয়। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪৯)

জারির (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হঠাৎ কোনো নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমরা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪৮)

এ দুটি হাদিস থেকে বোঝা যায়, প্রথমবার যদি অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি চলে যায়, তাহলে তা আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু প্রথমবার যদি ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দেওয়া হয় অথবা আগে থেকে জানা থাকে, এদিকে তাকালে কোনো নারীর দিকে দৃষ্টি চলে যাবে, তাহলে তা কখনো বৈধ হবে না। এ হাদিস ওই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যেখানে বান্দার নিজের কোনো ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, কল্পনা কিছুই ছিল না। সম্পূর্ণ তার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের দৃষ্টি হিফাজত করার তাওফিক দান করুন।

সূত্রঃ কালের কন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *