অনলাইন ডেস্ক :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের জগন্নাথপুর লক্ষীপুর তাঁতারকান্দির ঐতিহ্যবাহী পবিত্র ঈদগাহ মাঠে চলে প্রতিদিনই ক্রিকেট জুয়া ওয়ানবিট। গত ঈদে ঈদগাহের প্রধান হুজুর হারুন অর রশিদ ঈদের নামাজের মোনাজাতের সময় করজোর করে ঈদগাহ মাঠে খেলাধুলা করতে নিষেধ করেন সবাইকে। এছাড়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি বাসেত প্রফেসার ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মজনু মিয়ার তরফ থেকে নিষেধ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না পবিত্র ঈদগাহ মাঠের ক্রিকেট জুয়া। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক বছর ধরে লক্ষীপুর তাঁতারকান্দির এই ঈদগাহ মাঠে অঘোষিত কিশোর গ্যাং এর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই ক্রিকেট জুয়া ওয়ানবিট। এই জুয়া খেলার বাজি ধরায় জোরসে ব্যাটিং করায় প্রতিদিনই আশেপাশের বাড়ির চালে ও উঠানে গিয়ে বল পড়ে। ফলে বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরব্বি বলেন, এই লক্ষীপুর তাঁতারকান্দির ঈদগাহ মাঠ অনেক পবিত্র ও ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে জগন্নাথপুর লক্ষীপুর তাঁতারকান্দির শত শত হাজার হাজার মুরব্বিদের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মাঠের পুরাতন ঐতিহ্য রয়েছে, রয়েছে বিশেষ পবিত্রতা। এখানে শত বছর ধরে ঈদের নামাজ পড়া হয়। এছাড়া আগের দিনে এখানে ওয়াজ মাহফিলও হতো। কিন্তু এই পবিত্র স্থানের এমন বেহাল অবস্থা বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানা যায় উঠতি অপরাধপ্রবণ কিশোরদের দ্বারা এই ঈদগাহের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে ক্রিকেট জুয়া ওয়ানবিট খেলার কারণে। বিভিন্ন সময় এই ক্রিকেট জুয়া বন্ধ করা হলেও, সময়ের ব্যবধানে আবার শুরু হয় অঘোষিত কিশোর গ্যাং এর আয়োজনে এই কিশোর জুয়া। এসব অপরাধপ্রবণ কিশোররা কারও কথায় কান দেয় না, কোন মুরব্বিদের কথাও শুনে না। ফলে বন্ধ হচ্ছে না কিশোর জুয়া। এছাড়া ঈদগাহের আশেপাশে থাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ এই পর্যন্ত ক্রিকেট বল বাড়িতে উড়ে আসার ফলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাসিন্দাদের অনেকে একাধিক বার আহত হয়েছেন বলের আঘাতে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ঈদগাহ কমিটির কাছে বার বার অভিযোগ করা হলেও বন্ধ হয়নি ক্রিকেট জুয়া। এছাড়া মৌখিক ভাবে নিষেধ করার পরও বন্ধ হয়নি ক্রিকেট জুয়া। এক ভুক্তভোগী বলেন কারা এই ক্রিকেট জুয়া পরিচালনা করছে তাদের পিতা মাতা ও তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করার পর ভৈরব থানায় ও ঢাকায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হবে সঠিক তথ্য প্রমাণ এর ভিত্তিতে। ভুক্তভোগী আরও জানান একাধিক ফুটেজ ভিডিও চিত্র ও ছবি সংরক্ষণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই ভুক্তভোগী আরও জানান, ঈদগাহে ক্রিকেট জুয়া বন্ধ না হলে আর বাড়িতে উড়ে এসে বল আসা বন্ধ না হলে, তাদের বিরুদ্ধে সময় মত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এই সমস্যা প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এক ভুক্তভোগী।