শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত ভিটামিন সি খেতে। এ ছাড়াও খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই ভিটামিনটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
ব্রাশ করলেই কেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, জেনে নিন
শরীরে ভিটামিন সি র প্রচুর অভাব হলে স্কার্ভির মতো রোগ হতে পারে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারে না। প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমেই ভিটামিন সি পৌঁছে যায় শরীরের কোষে কোষে। তাই যে কোনও ধরনের লেবু, আমলকী, পেঁপে, টমেটো, ক্যাপসিকাম, পেয়ারা, ব্রকোলি ইত্যাদি উপাদান খাবার পাতে যোগ করে ভিটামিন সি-এর জোগান বাড়াতে পারেন সহজে।
এত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভিটামিন সি-র অনুপস্থিতি কিন্তু মোটেই প্রাথমিকভাবে টের পাওয়া যায় না। ফলে উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এই অভাবকে উপেক্ষা করতে করতে এমন একটা পর্যায় আসে যখন ক্রনিক অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। দেখা দেয় অন্য অনেক ক্রনিক উপসর্গ। কী দেখে বুঝবেন শরীরে ঘাটতি হচ্ছে ভিটামিন সি’র? চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
১। কোলাজেন সিন্থেসিস বাধাপ্রাপ্ত হয় এই ভিটামিনের অনুপস্থিতিতে। ফলে ত্বকের বাইরের স্তর (এপিডার্মিস) পাতলা ও ফ্যাকাশে হতে থাকে। ত্বকের নিচের রক্তজালকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক ফ্যাকাসে ও জেল্লাহীন দেখালে সতর্ক হতে হবে।
২। মৌসুম পরিবর্তনের সময় হঠাৎ হঠাৎ ঠান্ডা লাগলে সতর্ক হন। ভিটামিন সি’র লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না। তাই শরীর কোনও জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। ঘন ঘন জ্বর, সর্দিকাশি লেগে থাকলে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হয়েছে কি না যাচাই করুন।
৩। সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরেও অ্যানিমিয়ার হানা না কমলে অবশ্যই পাতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ক্লান্তিবোধ, ঘন ঘন মাথাব্যথা সঙ্গে রক্তাল্পতার চোখরাঙানি আদতে ভিটামিন সি’র অভাবকেও বোঝায়।
৪। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি দুর্বল হয়ে যায়। মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে হতে পারে। দাঁতের দীর্ঘ সমস্যা মানেই ভিটামিন সি-এর অভাবকে দায়ী করা যেতে পারে।
৫। শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে চুলের গোড়াকে আলগা করে ও চুল পাতলা করে তোলে। সহজেই চুল ঝরে যায়। চুলের যে কোনও প্রসাধনে তাই আমলকী, লেবুর উপাদান থাকে। কোনও অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠলে ডায়েটে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেখতে পারেন।