পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মনোজিৎ। বান্ধবীকে দিয়েছেন উপহার হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা ও দামি গাড়ি।
এতে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। এ ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন অস্ট্রেলিয়ায় যেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রের বরাত দিয়ে টিভি নাইনের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ প্রায় ১ কোটি টাকার বড় একটি অংশ ট্রান্সফার করেন নিজের এক বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
প্রায় ২১ লাখ টাকা ওই বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন তিনি। এ ছাড়া সেই বান্ধবীকে ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন মনোজিৎ।
জানা গেছে, বান্ধবীকে উপহার দেওয়া ওই গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে ঠিকানা ভুল দেওয়া হয়েছিল। যদিও কনস্টেবলের ওই বান্ধবীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
ওই বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া গেলে, দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসাররা।
অন্যদিকে ওই পুলিশ কনস্টেবলের ৭৩ লাখ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিটেরও সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আদালতের নির্দেশে রামপুরহাট থানার ওই কনস্টেবল আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্নীত দমন শাখার হেফাজতে থাকবেন।
সে ক্ষেত্রে মনোজিতের এই বিপুল সম্পত্তি কীভাবে হলো, তা জানার চেষ্টা করবেন রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসাররা।
বিশেষ করে একজন কনস্টেবল হিসেবে ওই ব্যক্তির চার বছরে বেতন বাবদ আয় হওয়ার কথা প্রায় ১১ লাখ টাকা।
সে ক্ষেত্রে কীভাবে তার সম্পত্তির পরিমাণ ওই চার বছরে ১ কোটি টাকার ওপরে পৌঁছে গেল, তা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।