কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩০ শে
সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কলাপাড়া
উপজেলা শাখার ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন। কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের
(নৌকা প্রতীক) সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের
সন্তান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষন ও পাঠাগার বিষয়ক
সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু সৎ, সাহসী, মেধাবী ও
পরিশ্রমী একজন যোগ্য যুবনেতা। যার হাত ধরে সাগর পাড়ের গোটা যুবসমাজ
একত্রিত হবেন। ইতিমধ্যে এই যুবনেতা কলাপাড়া উপজেলার গোটা যুবসমাজকে
সু-সংগঠিত করার কাজে একনিষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। গ্রাম, মহল্লা,
পাড়ায়, গঞ্জে চায়ের দোকান কলাপাড়ার সর্বজায়গায় যুবনেতা শিমু মীর নামটি
ফুটে উঠেছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আইকন সৈয়দ মশিউর রহমান
শিমু জন্মের পর থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কারন তার দাদা
বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ আবুর হাসেম মীর সাহেব ১৯৭১ সালে নির্বাচনে
বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে নৌকা মার্কার প্রতীক নিয়ে কলাপাড়া ও আমতলী দুই থানার
প্রথম এমসিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধে সংক্রিয়ভাবে
অংশ গ্রহন করেন। তিনি একাধারে কলাপাড়ায় প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২নং
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে ২৫ বছর
দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাবা সৈয়দ আখতারুজ্জামান (কোক্কা) তার দাদার
রাজনৈতিতে সংক্রিয় থাকা অবস্থায় রাজনীতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হন। তার
বাবা ১৭ বছর ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, ২নং টিয়াখালী
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং পটুয়াখালী জেলা
কৃষকলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা বর্তমানে কলাপাড়া
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। তার বাবা
আওয়ামীলীগ করার কারনে ১৯৭৯ সালে বিএনপি জিয়াউর রহমানের শাষনাআমলে মিথ্যা
হত্যা মামলার আসামী করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর তার
বাবার উপর অমানুষিক নির্যাতন ও ডান হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে শিমু
মীরার নামে ১৫ থেকে ২০টি মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়। শিমু মীরা আওয়ামী
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বিধায় ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে
বেড়ে একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী
আন্দোলনের সাথে থেকে সহযোগিতা করেছেন দল এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় ৩০টি মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী করা হয়। সাবেক
অর্থমন্ত্রী এম.এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপি, মমতাজ উদ্দীনের
হত্যা ও ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বার বার নির্যাতিত
এবং অনেকবার তাকে জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু
সারা বাংলাদেশের ন্যায়ে গত ২৮ই আগষ্ট ২০২২ইং তারিখ কলাপাড়ায় বিএনপির
অহেতুক নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে গিয়ে বংশগত বিএনপি ঠেকাতে গিয়ে বিএনপির লোক
দ্বারা তাকে প্রধান আসামী করে তার মামলা দায়ের করা হয়।
শিমু মীরা ১৯৯৭ সালে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ, ২০০২সালে
কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ২০১২ সালে কলাপাড়া
উপজেলা যুবলীগের তথ্য গবেষনা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত
আছে। ২০১৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতীক দিলে বিপুল ভোটে
বিজয়ী হয়ে তিনি গতবার ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে জনগনের
সেবা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিঢাল বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা
বাস্তবায়নের লক্ষে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকার দক্ষিন
অঞ্চলের মানুষ যাকে উন্নয়নের মা হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি তাহার একান্ত
সৈনিক হয়ে জনগনকে সাথে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
তিনি ১১৪ পটুয়াখালী ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিব্বুর
রহমান এর অত্যন্ত স্নেহভাজন ব্যাক্তিত্ব।
কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আইকন মুজিব আদর্শের সৈনিক, আওয়ামীলীগ পরিবারের
সন্তান, সংগ্রাম আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা মামলা কারা নির্যাতিত একজন
যুবনেতা। তাই সকল যোগ্যতা এবং সংগত কারনেই কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের
সভাপতি পদ-প্রত্যাশী সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু।