যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএম সোহেল রানা নামে গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
জানা যায়, শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুপক্ষের ১২ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজন সাধারণ শিক্ষার্থীও রয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
রোববার প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপাচার্য আনোয়ার হোসেন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। দুইটি কমিটি একটি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ মারামারি ও অপরটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের মারামারি তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন বোর্ডের সদস্য ড. সৈয়দ গালিব হাসান ও সদস্য হিসেবে আছেন মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান মেহেদী আল ইমরান হাসান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া ইসলাম। এ কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর তানভীর হোসেন ও সদস্য আরেকজন সরকারী প্রক্টর এসএম মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোহেল রানা আগে থেকেই ক্যাম্পাসের শহিদ মশিউর রহমান ছাত্র হল থেকে বহিষ্কৃত হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গঠন করা দুইটি কমিটিকে প্রতিবেদনের দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।