যদি আমরা আত্মবিশ্বাস কিনতে পারতাম, তাহলে আমরা সেটার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতেও দ্বিধাবোধ করতাম না– স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস ওকসের এমন কথাতে বোঝা যায় ইংলিশ খেলোয়াড়দের মনের অবস্থা কতটা বাজে। সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, বাটলারদের অন্দরমহলে এখন অশান্তির আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। যে আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে ইংলিশদের বিশ্বকাপ আশা। টানা হারে এরই মধ্যে প্রায় সেমির আশা শেষ হয়ে গেছে তাদের।
কয়েক দিন আগেও যে আভাস দিয়েছিলেন সাবেক বিশ্বজয়ী দলনেতা ইয়ন মরগান। তিনি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে ভাঙন ধরেছে। মূলত দলাদলির কথাই বলেন মরগান। বিশেষ করে বাটলার-মইনরা একদিকে। আবার স্টোকস-বেয়ারস্টোরা আরেকদিকে। তাদের ব্যাটিং করার মন মানসিকতায় সেই প্রভাব স্পষ্ট। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণও রয়েছে। বেন স্টোকসকে অবসর ভাঙিয়ে দলে ফেরানোই নাকি কাল হয়েছে। এর আগে শুরুর দিকে ফিট থাকার পরও নাকি তাঁকে বসিয়ে রাখেন কোচ ম্যাথু মট। সাবেক তারকারা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই তাঁকে মাঠে দেখা যায়। কিন্তু ফেরার পর এখন পর্যন্ত সেভাবে ঝলক দেখাতে পারেননি।
এদিকে কোচ ম্যাথু মটও এমন সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কাছে বিষয়টি স্রেফ বাজে পারফরম্যান্স। সময়টা তাদের খারাপ যাচ্ছে, সে জন্য এমন হচ্ছে। কিন্তু মট তো ভেতরের খবর সামনে আনবেন না। এটা স্বাভাবিক! মরগান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ছিলেন। এই ইংল্যান্ড দলে এখন যারা বিশ্বকাপ খেলছেন, তাদের অনেকেই তাঁর সতীর্থ। হাঁড়ির খবর তাঁর কাছে যেতেই পারে।
তবে এটাও ঠিক, একটা দল যখন হারের বৃত্তে বন্দি থাকে, তখন এমনিতেই অশান্তি দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করবে। তখন একজন আরেকজনকে দোষারোপ করবে আবার একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাবে এটাও ঠিক। আবার এটাও ঠিক, যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে। ইংল্যান্ড দলের মধ্যে তেমন একটা দৃশ্য দেখা যায় ম্যাচ চলাকালেও। সর্বশেষ ভারতের সঙ্গেও তেমনটা হয়েছে। তাদের শরীরী ভাষা ছিল একেবারে লো লেভেলের। অল্প রানে ভারতের মতো দলকে আটকিয়েও ম্যাচটা বের করতে পারেনি। টপঅর্ডারের ব্যর্থতার পর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রাও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। সবার মধ্যে কেমন যেন একটা গা-ছাড়া ভাব ছিল। তাতে গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলে।