‘ছোট দলের’ বড় ম্যাচ

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল আফগানিস্তান। এর পর কিউইদের সঙ্গে হেরেও কোণঠাসা হয়নি। উল্টো আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরেছে। পাকিস্তানের মতো দলকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে তারাও এবার সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে।

এর পর শ্রীলঙ্কাকে তো বলে-কয়ে হারিয়েছেন রশিদরা। তাতে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দারুণ অবস্থানে দলটি। আজ তাদের সামনে নেদারল্যান্ডস। যে তিন দলকে হারিয়েছে, এরই মধ্যে তাদের থেকে ডাচরা অনেক পিছিয়ে। তাই এই ম্যাচে আফগান-ঝলক দেখার অপেক্ষায় থাকবে দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরাও।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আফগানদের মূল অস্ত্র স্পিন। আগের দুই ম্যাচেও এই স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছিল তারা। তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবিকে সামলানোই দায় হয়ে যায়। তার মধ্যে পাকিস্তান ম্যাচে চমক হিসেবে আরেক লেগি নুর আহমেদকে নামিয়েও সফলতা পায় তারা। যে ম্যাচে তরুণ নুর ১০ ওভার বোলিং করে ৪৯ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট।

শুধু বোলিং আক্রমণ নয়, ব্যাটিংয়েও আফগানিস্তান এখন ভীষণ পরিণত। সর্বশেষ লঙ্কান দুর্বার বোলিং সামলে ঠান্ডা মাথায় জয়ের বন্দরে নোঙর করে দলটি। সে দিন শুরুতেই ওপেনার গুরবাজকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। তাতে জয় পেতে কষ্ট হয়নি। ইব্রাহিম-রহমানুল্লাহ চমৎকার ব্যাটিং করেন।

ডাচদের বিপক্ষেও আফগান টপঅর্ডার রানের ডানা মেললে পার হওয়া কঠিন কিছু হবে না। আর যদি গুরবাজ বিধ্বংসী রূপ দেখান, তাহলে তো কথাই নেই। চলমান আসরে এরই মধ্যে দুই ফিফটি করেছেন। যেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ আর পাকিস্তানের সঙ্গে করেন ৬৫ রান।

তবে চাইলেও নেদারল্যান্ডসকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তারাও সহজে হার মানেন না। যেটা এই বিশ্বকাপে প্রমাণ দিয়েছেন। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোটাও তাদের জন্য ইতিবাচক দিক। সেই সঙ্গে ফর্মহীনতায় ভোগা বাংলাদেশও পারেনি ডাচ বাধা পেরোতে।

আজ আফগানদের স্পিন আক্রমণ সামলে নিলেই হয়তো দারুণ কিছু হতে পারে লক্ষ্ণৌতে। কারণ নেদারল্যান্ডসেরও সুযোগ রয়েছে সেমিতে যাওয়ার। তাদের নামের পাশে এখন ৪ পয়েন্ট। আজ জিতলে হবে ৬ পয়েন্ট। এর পর বাকি ম্যাচগুলো জিততে পারলে সমীকরণ মিলিয়েও হয়তো প্রথম সারিতে গেলেও যেতে পারে দলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *