প্রচণ্ড তাপদাহে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে অস্বাভাবিকভাবে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের ২টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পিডিবি কাপ্তাই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আবদুর রহমান জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সচল ৫টি ইউনিটে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে চালু ৩টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১টি পুরোদমে চললেও পানির অভাবে অপর ২টি ইউনিট রেশনিং পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে। হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী এ সময় পানি থাকার কথা ৮১.৬২ এমএসএল (মিন সী লেভেল)। কিন্তু বর্তমানে পানি রয়েছে ৭৬.৫৯ এমএসএল। ৬৮ এমএসএলকে বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয়। পানির লেভেল এর নিচে নেমে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং করা হয়নি। অথচ প্রতিদিন টন টন বর্জ্য কাপ্তাই হ্রদে এসে পড়ছে। এতে হ্রদে পানি ধারণক্ষমতা দিন দিন কমছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকালীন শুকনো মৌসুমে হ্রদে পানি কমে গেলে নিচের কর্ণফুলী নদী থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে হ্রদে পানি এনে কেন্দ্র সচল রাখার একটি পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাপ্তাই নতুন বাজারের পার্শ্বে উপ-বাঁধ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর শুকনো মৌসুম এলে পানি শুকিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধস নামে। কিন্তু এ পর্যন্ত বিকল্প পদ্ধতিতে হ্রদে কখনও পানি উঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।